ক্রমশ বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, অগাষ্টে ছুঁল সাত শতাংশের ঘর

খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্টে ৭.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুলাইয়ে ৬.৬৯% এবং ২০২১ সালের আগস্টে ৩.১১% ছিল। এদিকে, সোমবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ভারতের শিল্প উৎপাদন ২.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। IIP জুলাই ২০২১ এ ১১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

Parna Sengupta | / Updated: Sep 13 2022, 06:11 AM IST

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে দুঃসংবাদ। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি আগস্টে সাত শতাংশে পৌঁছেছে, যা জুলাই মাসে ছিল ৬.৭১ শতাংশ। একই সময়ে যা গত বছরের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। জেনে রাখা ভালো যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি টানা আট মাস ধরে RBI-এর লক্ষ্য ব্যান্ড ছয় শতাংশের উপরে রয়েছে। যাইহোক, পাঁচ মাসে দ্বিতীয়বার এটি সাত শতাংশের নিচে নেমে গেছে।

তথ্য অনুসারে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্টে ৭.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুলাইয়ে ৬.৬৯% এবং ২০২১ সালের আগস্টে ৩.১১% ছিল। এদিকে, সোমবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ভারতের শিল্প উৎপাদন ২.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। IIP জুলাই ২০২১ এ ১১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

জুলাইয়ে আইআইপি ২.৪ শতাংশে বেড়েছে
জুলাই মাসে দেশের শিল্প উৎপাদন (আইআইপি) ২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছর আগের তুলনায় জুলাই ২০২১-এ IIP বেড়েছে ১১.৫ শতাংশ। সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) কর্তৃক প্রকাশিত ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন (আইআইপি) এর তথ্য থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন খাতের উৎপাদন ২০২২ সালের জুলাই মাসে ৩.২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও, জুলাই মাসে খনির উৎপাদন ৩.৩ শতাংশ কমেছে, যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ২.৩ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শিল্প উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এবং তা ৫৭.৩ শতাংশ কমেছে।

এদিকে, দেখা গিয়েছে যে বিগত দুই বছরে যেভাবে অন্যান্য উন্নত দেশ এবং উন্নয়শীল দেশগুলির অর্থনীতির হাল খারাপ হয়েছে সেই তুলনায় ভারত যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভারতের তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধির হারে বিশাল পতন ঘটেছে আমেরিকা, জার্মানি, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশের। সেই তুলনায় ভারত ও চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার অনেকটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে। এমনকী, সম্প্রতি এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক ফলাফল-এর রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতেও দেখা যাচ্ছে যে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে। 

জিএসটি সংগ্রহেও রেকর্ড বৃদ্ধির ছবিটা প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি বেকারত্বের হারও বিশালভাবে কমেছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব মন্দা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রতিটি দেশ। কিন্তু, ভারতের অর্থনীতিবিদ ও বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা ভারতের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কাকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, ভারত ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা এবং জিএসটি উৎপাদন, এমএসএমই গুলোকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে রেখেছে এবং যেভাবে আগে থেকেই উদ্যোগী হয়ে বাজারে ক্যাশ ফ্লো-কে বজায় রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে বিশ্ব মন্দা এই দেশকে ছুঁতে পারবে না।

Share this article
click me!