এবার আর টিকা নেওয়ার জন্য সূচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না। নাক দিয়ে টেনেও নেওয়া যাবে করোনার টিকা। বহু দিন ধরেই এই টিকার উপর কাজ করছিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। আর এবার তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের উপর ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ।
ইতিমধ্যেই করোনা টিকার (Corona Vaccine) দুটি ডোজ সম্পন্ন হয়েছে অধিকাংশ দেশবাসীর ক্ষেত্রেই। আর এতদিন টিকা দেওয়া হচ্ছিল সূচ ফুটিয়েই। কিন্তু, এবার টিকা নেওয়া আরও অনেক সহজ হতে চলেছে। এবার আর টিকা নেওয়ার জন্য সূচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না। নাক দিয়ে টেনেও নেওয়া যাবে করোনার টিকা। বহু দিন ধরেই এই টিকার উপর কাজ করছিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। আর এবার তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক (intranasal booster dose) প্রয়োগের উপর ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (The Drugs Controller General of India)। শুক্রবারই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের দেওয়া শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। আর এবার নাক দিয়ে বুস্টার ডোজ নেওয়ার টিকাও বাজারে আনতে চলেছে ভারত বায়োটেক। জানা গেছে, এই বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নয়টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) জানিয়েছিলেন যে, দেশে খুব শীঘ্রই করোনা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- স্কুল খুলতে আগ্রহী কেন্দ্র, শীঘ্রই রাজ্যগুলিকে দিতে পারে নির্দেশ
তবে এখনই এটি প্রধান টিকা বা প্রথম ডোজ হিসাবে দেওয়ার কথা হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিকাটি দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। সংস্থার তরফে সেকথাই জানানো হয়েছে। একদিন আগেই কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড (Covishield) দুটি টিকাকেই খোলা বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে খোলা বাজার থেকেই এই টিকা কিনে নেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। আর তারপরের দিনই নাক দিয়ে টিকা নেওয়ার পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও অনুমতি দিল ডিসিজিআই (DCGI)। এর ফলে আগামীদিনে করোনা দেশে আর ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার পদ্ধতি আরও অনেকটাই সহজ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- এবার থেকে খোলা বাজারে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন বিক্রি, জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী
জানা গেছে, ভারত বায়োটেক এই ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার পরীক্ষা ৫ হাজার সাবজেক্টের উপর করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই পাঁচ হাজার সাবজেক্টের মধ্যে অর্ধেক হবে কোভিশিল্ড টিকা প্রাপক ও বাকি অর্ধেক হবে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রাপক। সূত্রের খবর, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে ছয় মাস। এর আগে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার (Clinical Trail) অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক।
আরও পড়ুন- ভারতে সক্রিয় ওমিক্রনের উপবংশ, সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ