শুধু বাংলা নয়। এই সময়টা দেশের নানা প্রান্তেই একাধিক উৎসব পালন করা হয়। উৎসবের এই মরশুমেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জনের।
ভোট- বাংলায় ইস্যু করোনাভাইরাস, দ্বিতীয় তরঙ্গ নিয়ে মমতার নিশানায় বিজেপি, প্রতিবাদ স্মৃতির ...
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্তঃ ২,০০,৭৩৯
দৈনিক মৃত্যুঃ ১০৩৮
দৈনিক সুস্থঃ ৯৩,৫২৮
মোট আক্রান্তঃ ১,৪০,৭৪,৫৬৪
মোট সুস্থঃ ১,২৪, ২৯,৫৬৪
মোট মৃত্যুঃ ১,৭৩, ১২৩
অ্যাক্টিভকেসঃ ১৪,৭১,৮৭৭
টিকাকরণঃ ১১,৪৪,৯৩,২৩৮
রসেবশে থাকা রাজনীতিবিদ মদন মিত্রের রাজনৈতিক কেরিয়ার অভূতপূর্ব মোডে় দাঁড়িয়ে ...
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ বাকি সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ভারতে দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রাদুর্ভাব প্রবল গতিতে বাড়ছে বলেও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে ১ লক্ষ সংক্রমণ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষে পৌঁছাতে ২১ দিন সময় লেগেছিল। সেখানে ভারত মাত্র ১১ দিনেই ২ লক্ষের গণ্ডিঅতিক্রম করল। যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। ভারতে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষের গণ্ডিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৯ দিন। আর মাত্র পাঁচ দিনেই দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষের গন্ডিতে পৌঁছে গেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
নতুন বছর বঙ্গের জন্য নতুন শুরু, নববর্ষে টুইট করে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্র
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় আবারও প্রকট হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার বেআব্রু দশাটা। মহারাষ্ট্র দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তে রোগিদের চিকিৎসার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে আক্রান্তর আত্মীদের। মহারাষ্ট্রেই গত হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে গত দুদিন ধরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই ঘরতে দেখা গেছে ছেলেকে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনার ওষুধ রেমডেসিভির নেই বলে অভিযোগ করেছে। যদিও রবিবার রাতেই রেমডেসিভিরের বিদেশে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত টিকা না থাকার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় তরঙ্গে পরিস্থিতি প্রথম তরঙ্গের থেকে খারাপ দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।