ভারতে গতি হারাচ্ছে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ
অন্তত তার প্রাথমিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে
এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৬টি রাজ্য নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্র
কোভিড সংকটে ভোগা ভারতের জন্য সুখবর, দ্রুতই ঘটতে পারে করোনার নাগপাশ থেকে মুক্তি। মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারতে দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং কোভিডের সঙ্গে জড়িত মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রাথমিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, কমপক্ষে ১৮ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমে কমছে। এই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল - মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, চণ্ডিগড়, লাদাখ, দমন এবং দিউ, লক্ষদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
তবে, দেশের দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ কমলেও, তার উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যে এখনও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা। একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পঞ্জাব, অসম, জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, পদুচেরি, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে। এই রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি নিয়ে এখনও উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন - যুগান্তকারী, আমেরিকায় এবার করোনা টিকা পাবে শিশুরাও - দৌড়ে রয়েছে কোভিশিল্ডও
আরও পড়ুন - ভয়াবহ - জল পেলেন না কোভিড আক্রান্ত স্বামী, হাসপাতালেই যৌন হয়রানির শিকার স্ত্রী
আরও পড়ুন - সবথেকে ভ্যাকসিনেটেড দেশেই সংক্রমণ দ্বিগুণ - করোনা-যুদ্ধে টিকার সাফল্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
বস্তুত ভারতে পরপর চারদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি থাকলেও মঙ্গল ও বুধবার একটানা কমেছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে এদিন প্রথমে উঠে এসেছে কর্নাটক।
এর সঙ্গে সঙ্গে কমছে চিকিৎসাধীন রোগীর ভারও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১৩টি রাজ্যে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি, ছয়টি রাজ্যে ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষের মধ্যে আর ১৭টি রাজ্য়ে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫০,০০০ এরও কম। তবে, লড়াই এখনও অনেক বাকি। কারণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, ২৬টি রাজ্যেই এখনও ইতিবাচকতার হার ১৫ শতাংশের বেশি। ইতিবাচকতার হার কোথাও ১০ শতাংশের বেশি হলেই লকডাউন জারির কথা বলেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা।