করোনাভাইরাস টিকার অভাব পূরণ করতে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র। যদি জরুরী ভিত্তিতে ভারতে টিকা ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং মর্ডানা আবেদন করে , তাহলে দুই সংস্থাকে আইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন, পিছনে পড়ে ভারত-পাকিস্থান, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে নতুন তারকা বাংলাদেশ
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ফাইজার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে জুলাই থেকে অক্টোবারের মধ্যে ভারতকে পাঁচ কোটি টাকার ডোজ দিতে তৈরি রয়েছে। ইতিমধ্য়েই ভারত সরকারের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছে মার্কিন সংস্থা। সেখানে ফাইজারের কার্যকারিতা, অনুমোদন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। পাশপাশি মার্কিন সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে , ভারতে সন্ধান পাওয়া বি ১.১৬৭ প্রজাতির করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় টিকার ভাল কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের দাবি, এই টিকা ১২ বছর বয়সীদের বা তাঁর উর্ধ্বদের জন্য উপযুক্ত।
আরও পড়ুন, 'ভ্যাকসিন অন হুইলস', করোনা মোকাবিলায় একাধিক নয়া উদ্য়োগ কলকাতা পুরসভার
কেন্দ্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাইজার এবং মর্ডানার মতো সংস্থাকে অন্যদেশগুলি যেরকম আইনি রক্ষা কবচ দেওয়া হয়েছে, সেই ভাবেই এই দুই সংস্থার টিকাকে ভারতেও সুরক্ষা কবচ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এবং তা মঞ্জুরও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জানিয়েছে, যে বিদেশি টিকাগুলি ইতিমধ্য়েই মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি, ব্রিটেনের মেডিসিন অ্য়ান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটর এজেন্সি এবং জাপানের ফার্মাকিউটিক্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস এজেন্সির অনুমোদন পেয়েছে বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যবহারের তালিকায় আছে, সেই টিকাগুলির প্রতিটি ব্যাচের টিকার সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাব পরীক্ষা নাওয়া হতে পারে। এই সিদ্ধান্তে ফলে বিদেশি টিকা আরও সহ হবে বলে মত রয়েছে সংস্লিষ্ট মহলের।