লকডাউনের কারণে মানসিক অবসাদ বাড়ছে, তাই কি ঘরোয়া হিংসার শিকার শিশুরা

মহিলাদের পর এবার শিশুরাও ঘরোয়া হিংসার শিকার
তেমনই তথ্য ইন্ডিয়ান চাইল্ড লাইনের
১১ দিনে ৯২ হাজার জরুরী ফোন
হেল্পলাইনেও বেড়েছে ফোনের সংখ্যা   
 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধ ২১ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ২১ দিন কার্যত গৃহবন্ধি অধিকাংশ ভারতীয়। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে অধিকাংশ মানুষের। এই অবস্থায় কী বেড়ে চলেছে ঘরোয়া হিংসা। যার শিকার হচ্ছে দেশের আমাগী প্রজন্ম। অনেকটা সেরকমই তথ্য উঠে আসছে চাইল্ড লাইন ইন্ডিয়ার দেওয়া সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে। সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর জানিয়েছেন গত ১১ দিনে তাঁরা ৯২ হাজারেরও বেশি জরুরী  ফোন পয়েছেন। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে কী করে বাঁচা যাবে নির্যাতন ও হিংসার হাত থেকে। 

চাইল্ডা লাইন ১০৯৮ -এই নম্বরে ফোন এসেছে ৩ লক্ষ ৭ হাজার। এই ফোন এসেছে গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ এই ১০ দিনের মধ্যে। লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই শিশু নির্যাতন নিয়ে ফোন আসায় রীতিমত উদ্বেগে রয়েছে এই সংস্থা। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন অধিকাংশ মানুষই ঘরে রয়েছেন। হাতে প্রায় কাজ নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় সময় কাটানোও দুস্কর। অন্যদিনে দুস্থ শ্রেনী বা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে বাড়ছে জীবিকার অনুশ্চয়তা। কমছে সঞ্চেয়ের পরিমানও তাই মানসিক অবসাদ থেকেই ঘরোয়া হিংসা বাড়ছে বলেই মনে করছেন মনোবিশেষজ্ঞরা। 

Latest Videos

তবে চাইল্ড লাইনের দেওয়া একটি তথ্যও খুবই সন্তোষজনক। কারণ লকডাইনের মধ্যেই  শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে ১১ শতাংশ ফোন পেয়েছেন তাঁরা। মাত্র ৮ শতাংশ ফোন পেয়েছেন শিশু শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে। কারণ অধিকাংশ কাজের জায়গায়ই বন্ধ তাই সমস্যাও সেখানে অনেকটাই কম। লকডাউনের এই সময় অনেকটাই কমেছে শিশু নিখোঁজ বা শিশু অপরহণের সংখ্যাও। মাত্র ৮ শতাংশ ফোন এসেছে এই দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে এক হাজারেরও বেশি ফোন এসেছে তাঁদের দফতরে। তবে এই লকডাউনের মধ্যেও চলা শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

গত দোশরা এপ্রিলই মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে তথ্য দিয়ে জানান হয়েছিল লকডাইনের এই সময়ই বেড়েছে গেছে ঘরোয়া হিংসা। যার শিকার হতে হচ্ছে বাড়ির মহিলাদের। ২৩ মার্চ থেকে পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত মহিলার নির্যাতন সংক্রান্ত ২৫৭ মেল পেয়েছেন তাঁরা। ডাক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এই তথ্যও তাঁদের রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে।

আরও পড়ুনঃ আর্ন্টাটিকা সফর অধরা, বিলাশতরীর ৬০ শতাংশ যাত্রী করোনায় আক্রান্ত 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে ফেস মাস্ক আর প্ল্যাস্টিকে, তেমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের

বিশেষজ্ঞদের মতে লকডাউনে ভারতের অধিকাংশ পরিবারই গৃহবন্দি। বর্তমান ভারতের নিউক্লিয়ার ফ্যামেলি হওয়ায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। বাবা-মা আর একটি কি দুটি সন্তান। তাই লকডাউনের এই সময় পরিবারের সকলে মিলে গল্প করে, গান শুনে বা সময় কাটানোই শ্রেয়। অভিভাবকরাও এক সময়টা তাঁদের সন্তানদের জন্য নিশ্চিন্তে ব্যায় করতে পারেন। আর একান্তবর্তী পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ লকডাউনের সময়টা বাড়ির ছোটদের জন্য বরাদ্দ করুন। গৃহস্থালীর কাজে তাঁদের যুক্ত করুন। এতে বাড়ির মহিলাদের কাজ না কমলেও শিশুদের ব্যস্ত রাখা যাবে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury