স্বাস্থ্য দপ্তরের নথিতেই লেখা সম্প্রদায় সংক্রমণ, সত্যিই কি কোভিড-১৯ এখন তৃতীয় স্তরে

স্বাস্থ্য দপ্তরের নথিতে লেখা 'সীমিত আকারে সম্প্রদায়ের সংক্রমণ'

মহারাষ্ট্রের একই পরিবারের ২৫ জন সদস্যের দেহে করোনভাইরাস

সম্প্রদায় সংক্রমণ-এর ভয় জাঁকিয়ে বসেছে ভারতে

কী জানালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক

ভারতে কি ভয় বাড়িয়ে কোভিড-১৯ রোগ তৃতীয় পর্যায়, অর্থাৎ সম্প্রদায় সংক্রমণ-এর স্তরে পৌঁছে গেল? প্রথমে রবিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দপ্তরের নথিতে লেখা ভারতে কোভিড-১৯ 'স্থানীয় সংক্রমণ এবং সীমিত আকারে সম্প্রদায়ের সংক্রমণ-এর পর্যায়ে রয়েছে'। তারপর এদিন মহারাষ্ট্রের একই পরিবারের ২৫ জন সদস্যের দেহে করোনভাইরাস ধরা পড়ার পর, এই ভয়ই ঢুকেছিল আপামর ভারতবাসীর মনে। কিন্তু সোমবার বিকেলে সেই ভয় দূক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানালো, দেশে এখনও করোনাভাইরাস এখনও সেই স্তরে পৌঁছায়নি।

স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল এদিন বলেছেন, তাঁরা কোথাও নথিতে সম্প্রদায়ের সংক্রমণ-এর কথা বলেননি। তাঁর মতে ভারতে কোভিড-১৯ এখনও স্থানীয় সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন সীমিত আকারে 'সম্প্রদায় সংক্রমণ' হচ্ছে বটে, কিন্তু, 'সম্প্রদায়' শব্দটি থাকলেই তাই নিয়ে জল্পনা শুরু করাটা ঠিক নয়। তাঁরা জোর দিয়ে জানাতে চান, সম্প্রদায় শব্দটি ব্যবহার হলেও, ভারতে কোভিড-১৯ এখনও স্থানীয় সংক্রমণ পর্যায়েই রয়েছে।

Latest Videos

আরও পড়ুন - ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল চিনের, ৬ লক্ষ মাস্ক ফেরত পাঠাল নেদারল্যান্ড

আরও পড়ুন - 'মমতা-মোদি উদাহরণ তৈরি করেছেন', করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশংসা রাজ্যপালের

আরও পড়ুন - করোনার প্রকোপ ঠেকাতে হাত বাড়ালেন তারকারা, অর্থদান করলেন এবার বিরুষ্কা

ভারতে ইতিমধ্য়ে প্রায় ১,১০০ জনের বেশি নিশ্চিত করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঘটনা জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোনও দেশে কোভিড-১৯'এর মতো সংক্রামক ব্যধীর সংক্রমণ-কে চারটি ধাপের ভাগ করা হয়। প্রথম ধাপ হল যতক্ষণ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত এমন কোনও দেশ থেকে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরাদের মধ্যেই সংক্রমণ সীমিত থাকে। যারা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের আত্মীয় বা পরিচিতজন আক্রান্ত হলে সংক্রমণ পৌঁছায় দ্বিতীয় স্তরে, অর্থাৎ স্থানীয় সংক্রমণ। এতে আক্রান্ত হন অনেক কম মানুষ, সংক্রমণের উৎসও সহজে জানা যায় এবং সংক্রমণের চেনটি-কে সনাক্ত করাও সহজ হয়। সরকারের দাবি ভারত এখনও এই পর্যায়েই রয়েছে।

কিন্তু, যখন কোনও রোগী কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না এসে বা আক্রান্ত দেশগুলিতে ভ্রমণ না করেই আক্রান্ত হন, তখনই রোগ তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। এই পর্যায়ে, ইতিবাচক হিসাবে সনাক্ত হওয়া ব্যক্তির দেহে কোথা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে তার খোঁজ পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায়। তাই মোকাবিলা করার কাজটাও প্রায় হাতের বাইরে চলে যায়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
ED Raid News: কলকাতায় ফের ইডির দুঃসাহসিক অভিযান! ফাঁস হলো বড় দুর্নীতি, দেখুন
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
হতবাক সবাই! হাওড়া স্টেশন থেকে এ কী উদ্ধার হলো, দেখুন | Howrah News Today