লকডাউনের মরশুমে স্বস্তিতে প্রকৃতি, এবার উত্তরাখণ্ডের জঙ্গলে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির তুষার চিতার


উত্তরাখণ্ডের জঙ্গলে মিলল বিলর প্রজাতির তুষার চিতা
একাধিক ক্যামেরা বসিয়েছিল বনদফতর
তাতেই ধরা পড়ে ৪টি তুষার চিতার ছবি
 

Asianet News Bangla | Published : Apr 15, 2020 9:00 AM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়েই চলছে লকডাউন। প্রায় গোটা দেশই ঘরবন্দি করে রেখেছে। এই আবস্থায় আমরা আগেও দেখেছি জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির দখল নিয়েছে বন্য প্রাণিরা। সেই ছবিই এবার দেখা গেল উত্তরাখণ্ডে। যাখানে বনদফতরের পাতা ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির তুষার চিতার। তাও আবার একটি নয়। এক সঙ্গে চারটি।  যা সচারচর দেখা যায়না। আর বনদফতরের পাতা ক্যামেরায় তুষার চিতার ছবি দেখতে পেরে রীতিমত উৎসাহিত উত্তরাখণ্ডের নন্দাদেবী জাতীয় উদ্যানের কর্মকর্তারা। 
  স্থানীয় বনদফতর জানিয়েছেন ভারতে তুষার চিতার দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মলত মঙ্গোলিয়া ও চিনে এই চিতার সংখ্যা বেশী। তবুই এই চিতা গতিবিধি ভারতে আছে কিনা তা জানতেই জানুয়ারি মাসেই একাধিক জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। আর সেই ক্যামেরার ট্র্যাপ পরীক্ষা করতেই সামনে আসতেই দেখা যায় ভারতেও আনাগোনা রয়েছে তুষার চিতার।  প্রাথমিক অনুমান ভারতে প্রায় ৫১৬টি তুষার চিতা রয়েছে। সবথেকে বেশি রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। 

গত বছর অক্টোবর থেকেই গ্লোবাল স্নো লেপার্ড অ্যান্ড ইকোসিস্টেম প্রোটেকশন নামে একটি সূচিতে অংশ নিয়েছিল ভারত। আর সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে নন্দাদেবীর একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছিল ক্যামেরা। কার্যত তুরাষ চিতার মোটা সংখ্যা জানতেই এই কর্মসূচি। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য তুষার চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি। তাই একসঙ্গে বেশ কয়েকটি তুষার চিতা দেখতে পেয়ে স্বভাবই খুশির হাওয়া বনদফতরের কর্মীদের মধ্যে।  

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইসার পরীক্ষায় হন্ডুরাসের থেকেও পিছিয়ে ভারত, উদ্বিগ্ন রাহুল গান্ধি গণপরীক্ষার দাবিতে সরব হলেন .
আরও পড়ুনঃ ব্যাকওয়াটারের মাঝেই আইসোলেশন ওয়ার্ড, আলাপ্পুজহার রাজকীয় বোটহাউস এবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ...
আরও পড়ুনঃ 'চলো ঘর কি ওর' সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচারের কারণেই মুম্বইতে অভিবাসী শ্রমিকদের হুড়োহুড়ি, গ্রেফতার অভ..
বনদফতের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তুষার চিতা ভোর সন্ধ্যে অথবা রাতে সবছেকে বেশি সক্রিয় থাকে। মূলত এই সময়ই তাঁরা শিকার ধরে। নীল ভেড়া এদের পছন্দের তালিকায় পড়ে। ওয়াইল্ড ক্যাট প্রজাতির এই প্রাণি পাথুরে ও এবড়ো খেবড়ো এলাকা বেশি পছন্দ করে ভ্রমণ আর বিশ্রামের জন্য। সবকিছু বিবেচনা করেই ক্যামেরা লাগান হয়েছিল। আর তাতেই আসে সাফল্য। 

Share this article
click me!