করোনাভাইরাস বদলে দিচ্ছে অনেক কিছু
বুধবার দিল্লি পুলিশকে নিতে হল ডাক্তারের ভূমিকা
দক্ষিণ দিল্লির কিদোয়াই নগর এলাকায় পুলিশ ভ্যানেই জন্ম নিল ফুটফুটে এক শিশু
মা ও মেয়ে দুজনেই ভালো আছে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২১ দিনের লকডাউন। আর তাতেই অনেক কিছু অদল বদলল ঘটে যাচ্ছে পৃথিবীতে। বুধবার যেমন দিল্লি পুলিশকে নিতে হল ডাক্তারের ভূমিকা। দক্ষিণ দিল্লির কিদোয়াই নগর এলাকায় পুলিশ ভ্যানে করে এক প্রসুতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পথে ওই পুলিশ ভ্যানেই একটি ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দেন ওই মহিলা।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার কিদোয়াই নগর এলাকায় শ্রমিকদের জন্য স্থাপন করা এক অস্থায়ী শিবিরে থাকছিলেন। বুধবার বিকেলে ওই মহিলার পরিবার দিল্লি পুলিশেরর জরুরি পপরিষেবা বিভাবে ফোন করে। ওই মহিলার প্রসব বেদনার কথা জানিয়ে, অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিলেন তাঁরা।
৭ ডাক্তার ও ৩ নার্সের বিরুদ্ধে এফআইআর, তিন বছরের জেল হতে পারে এই করোনা-যোদ্ধাদের
২০ জনের জন্য একটি বালতি ও একটি সাবান, করোনাভাইরাস না খিদে - কে ডেকে আনবে মৃত্যু
ভারতে প্রথম পতন করোনা-যোদ্ধার, চলে গেলেন বিনা পয়সায় রোগী দেখা চিকিৎসক
সেই সময়, দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স জোগার করতে পারেনি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে একজন মহিলা কনস্টেবল-সহ চার পুলিশকর্মীকেই কিদোয়াই নগরের ওই শিবিরে পাঠানো হয়। ২৮ বছর বয়সী ওই প্রসূতী মহিলাকে একটি ইআরভি অর্থাৎ পুলিশের এমার্জেন্সি রেসপন্স ভ্যান-এ তোলা হয়।
ইআরভি-টি যাচ্ছিল সফদরজং হাসপাতালে। কিন্তু, হাসপাতাল অবধি পৌঁছনোর আগেই ওই মহিলার প্রসবের প্রয়োজন পড়ে। তাই রাস্তাতেই ইআরভিটি থামিয়ে দেওয়া হয়। মহিলা কনস্টেবল-এর সহায়তায় ভ্যানের ভিতরেও ওই মহিলা একটি মেয়ের জন্ম দেন। এরপর ওই মহিলা ও শিশুটিকে সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন মা ও মেয়ে দুজনেই ভালো আছে। আর ওই মহিলার পরিবার অসংখ্য় ধন্যবাদ জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ-কে।