গত কয়েকদিনের মধ্যেই কলকাতায় দারুণভাবে বেড়েছে দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগীর সংখ্যা। তার দায় পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee), এমনটাই দাবি করল বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)
অনিয়ন্ত্রিত জমায়েতের অনুমতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। যে কারণেই ৫ দিনের মধ্যে বিগড়ে গিয়েছে কলকাতার কোভিড-১৯ (COVID-19) পরিস্থিতি। তাই, এর দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই। সোমবার টুইট করে এমনটাই বলল রাজ্য বিজেপি (BJP)।
এদিন, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে, গত ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট-এর (Park Street) মাস্ক বিহীন জনস্রোতের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতার দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩৯। সেখান থেকে ২ জানুয়ারীর নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,১৫৩। অর্থাৎ এই ৫ দিনে শহরের দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা, অভূতপূর্বভাবে ১৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতার ইতিবাচকতার হারও উদ্বেগজনক, ৩২.৮ শতাংশ। বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) দাবি, বিশ্বে সম্ভবত কলকাতাতেই এখন ইতিবাচকতার হার সর্বোচ্চ। এটা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অনিয়ন্ত্রিত সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন বলেই।
আরও পড়ুন - India's COVID-19 Tally: ভারতে করোনার বিস্ফোরণ, গত তিন মাসের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছল সংক্রমণ
আরও পড়ুন - Vaccination for 15-18 year: আসমুদ্রহিমাচলে শিশুদের টিকাদান উৎসব, দেখুন ছবিতে ছবিতে
বস্তুত, ওমিক্রন (Omicron) ভেরিয়েন্ট কতটা সংক্রামক, তা এর আগে ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। ভারতেও গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই ঢুকে পড়েছিল ওমিক্রন। আর ডিসেম্বরের শেষ দিকে গোটা দেশেই ধীরে ধীরে ফের বাড়তে শুরু করেছিল করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই অবস্থায়, যখন প্রায় প্রতিটি রাজ্যে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি - এই উৎসবের মরসুমে নতুন করে কঠোর কোভিড-১৯ বিধি লাগু করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুরোপুরি উল্টোপথে হেঁটে উৎসবের কয়েকদিন কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল।
দূর্গাপুজোর কয়েকদিন, কালীপুজোর সময়ও কোভিড বিধি শিখিল করা হয়েছিল। তবে সেই সময় বিশ্ব কোভিড মহামারির আরও একটি তরঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল না। তাই দেদার মানুষ বের হলেও, সেভাবে প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, ব্রিটেন, স্পেন, আমেরিকা - বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রভাব দেখার পরও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন, কোভিড বিধি আরও কঠোর কড়ার পরিবর্তে কেন শিথিল করল, তার যুক্তি কেউই খুঁজে পাননি।
ডাক্তাররা বারবার অনুরোধ করেছিলেন কোভিড বিধি কঠোর করার জন্য, কানে নেয়নি প্রশাসন। মহামারি পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও মমতা সরকার গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে। তার উপর, রাজ্যের সংক্রমণ দারুণভাবে ঊর্ধ্বমুখী দেখার পরও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, যা যা বিধিনিষেধ জারি করার, তা উৎসবের দিনগুলি পেরিয়ে ৩ জানুয়ারি থেকে করা হবে।