স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে সতর্কতামূলক নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
ধীরে ধীরে ওমিক্রন (Omicron) থাবা বসাচ্ছে গোটা দেশেই। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে উদ্বেগ অত্যন্ত বাড়িয়ে তুলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে কলকাতাবাসীর (Kolkata) জন্য স্বস্তির খবর। কলকাতায় থাবা বসাতে পারেনি ওমিক্রন। ব্রিটেন (Britain) ফেরত যে তরুণী করোনায় আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছিলেন তাঁর শরীরে ওমিক্রন থাবা বসায়নি বলে জানা গিয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে একথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে সতর্কতামূলক নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ব্রিটেন থেকে কলকাতায় আসেন এক তরুণী। নিয়ম মতো বিমানবন্দরে তাঁর আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় যে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এদিকে এই ঘটনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই ভেবেছিলেন, কলকাতাতেও এবার থাবা বসাল ওমিক্রন। তবে সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এরপর তরুণীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল কল্যাণীতে। সেখান থেকেই রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হয়েছে, ওই তরুণীক শরীরে ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে তাঁর শরীরে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী, একদিনে মৃত্যু ৬ জনের
তবে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তড়িঘড়ি ওই তরুণীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আপাতত বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে তাঁর শরীরে সেভাবে করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলে জানা গিয়েছে। আসলে ওই তরুণী আলিপুরের বাসিন্দা। ব্রিটেন থেকে দোহা হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার বাংলাদেশ ফেরত বারাসতের এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, এখনও সেই রিপোর্ট হাতে আসেনি। ওই রিপোর্ট নিয়ে সামান্য উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কারণ ওই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে তারা।
ওমিক্রন ডেল্টার থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং টিকার কার্যকারিতা অনেকটা কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী তথা প্রেসিডেন্টের মুখ্য স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা চিকিৎসক অ্যান্টনি ফসিও (Antony Fauci) জানিয়েছেন, “প্রাথমিক উপসর্গ দেখে মনে হচ্ছে আগের স্ট্রেনগুলির থেকে আরও ভয়াবহ নয় ওমিক্রন। কতটা সংক্রমক হতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট, তা বুঝতে আরও কয়েক সপ্তাহ প্রয়োজন। একপ্রকার নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে বেশি ভয়ঙ্কর নয়। হয়তো একই ক্ষমতা সম্পন্ন বা কম হতে পারে, তবে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন নয়।”