নিজামুদ্দিনের জমায়েত থেকে কি ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ? তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সমস্ত মসজিদ বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মুসলিম সংগঠনগুলি। ভিড় করে নয়, বাড়িতে বসে নমাজ পরারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ভিড় করছেন বহিরাগত ধর্মপ্রচারকরাও।
আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিন যোগ এবার পুরুলিয়ায়, তথ্য প্রকাশ করলেন খোদ পুলিশ সুপার
করোনা সতর্কতা লকডাউন চলছে দেশে। রাস্তায় জমায়েত দেখলেই হটিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। মার্চ মাসে মাঝামাঝি কিন্তু খাস দিল্লিরই নিজামুদ্দিন এলাকার একটি মসজিদের ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ জমায়েত করেছিলেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ইসলাম ধর্মালম্বীরা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন বিদেশি নাগরিকরাও। নিজামুদ্দিনের এই সমাবেশ থেকে ফিরে যাওয়ার পর তেলেঙ্গানায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ওই ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত ছিলেন, এমন ৬৪৭ জন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে। এমনকী, বারো জন মৃতের সঙ্গেও মিলেছে নিজামুদ্দিনের যোগসূত্র।
আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিনের সমাবেশে 'মানববোমা', আত্মসমর্পণ করতে বললেন বিজেপি নেতা
আরও পড়ুন: সেকুলার অপর্ণার মুখে 'দিলীপ ঘোষের কথা' , নিজামুদ্দিন নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী
দিল্লির ধর্মীয় সমাবেশে চিন্তা বাড়িয়েছে বাংলাও। এ রাজ্যে থেকে যাঁরা সমাবেশে যোগ দিতে দিয়েছিলেন, তাঁদের সন্ধান চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। নিজামুদ্দিন যোগে ৫৪ জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নিজামুদ্দিনে অংশগ্রহণকারী ২৬ জনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। মেদিনীপুরের শহরের বেতরা মসজিদ কমিটির পক্ষে মহম্মদ ইকবাল বলেন, 'প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে আমরা মসজিদগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইমাম ছাড়া কেউ মসজিদে প্রবেশ করছেন না। সকলে বাড়ি থেকে নমাজ পড়ছেন।' জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত মসজিদেই আবার বহিরাগত ধর্মপ্রচারক বা জামাতিদের আনাগোনাও লেগে থাকে। এখনও যাঁরা রয়ে গিয়েছে, তাঁরা সকলেই গত দু'দিন ধরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন।