করোনা সন্দেহ জনক এক মৃতদেহ সৎকারে বাধা কে ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁকুড়ায়।বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ওয়ার্ডে মৃত সন্দেহজনক এক করোনা আক্রান্তর মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে এবার এলাকার মানুষের বড়সড় বাধার মুখে পড়তে হল বাঁকুড়া পুরসভা, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে। বাঁকুড়া শহরের লোকালয়ের মধ্যে থাকা লক্ষ্যাতড়া শ্মশানে রাতের অন্ধকারে একের পর এক সন্দেহ জনক করোনা আক্রান্তর মৃতদেহ সৎকার করা চলবে না, এই দাবি তুলে রাতভর বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার মানুষ। বিক্ষোভ দেখানো হয় স্থানীয় দুই কাউন্সিলারের বাড়িতেও। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্টের জেরে শ্রীঘরে ৯৬, লকডাউন লঙ্ঘনে গ্রেফতার ৬৩৮ সূত্রে খবর সোমবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ এলাকার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ওয়ার্ডে। ভর্তির ঘন্টা দুই পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়া পুরসভা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সৎকারের জন্য সরাসরি নিয়ে যায় বাঁকুড়া শহরের লোকালয়ের মধ্যে থাকা লখ্যাতড়া শ্মশানে। মৃতদেহ সৎকারের পর শ্মশান ও শববাহী গাড়ি স্যানিটাইজ করার জন্য শ্মশানে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। রাতের অন্ধকারে সন্দেহ জনক করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকারের চেষ্টা চলছে জানতে পেরে লালবাজার ও লখ্যাতড়া শ্মশান এলাকার বাসিন্দারা প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভ দেখানো হয় লখ্যাতড়া শ্মশানেও। স্থানীয়দের দাবি, গত দু দিন ধরে হাসপাতালের ফিভার ওয়ার্ডে মৃতদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার আগেই মৃতদেহ রাতের অন্ধকারে লোকালয়ের মধ্যে থাকা লখ্যাতড়া শ্মশানে নিয়ে এসে সৎকার করে দিচ্ছে বাঁকুড়া পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবি,এই ভাবে চলতে থাকলে এলাকায় করোনার মতো মারণ অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন, লকডাউনে যৌনকর্মী-রূপান্তরকামীদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী, পৌঁছানো হল পর্যাপ্ত খাবার অপরদিকে, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার দাবিতে বাঁকুড়া পুরসভার স্থানীয় চার ও কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। পরে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এলাকার মানুষের সঙ্গে সামিল হয়ে মৃতদেহ সৎকারের বিরোধীতায় নেমে পড়েন। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার খবর পাওয়ার পরই বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । প্রথমে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু কোনোভাবেই বিক্ষোভ সামাল দিতে না পেরে প্রায় ঘন্টা আড়াই পর পুলিশ ব্যাপক লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। যদিও পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনারও তীব্র সমালোচনা করেন শাসক দলের ওই কাউন্সিলার।
করোনার কোপে বন্ধ কলকাতার আস্ত একটি হাসপাতাল, ১০০ ছাড়িয়ে চিকিৎসক-নার্স সহ কোয়ারেন্টাইনে পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী