করোনাভাইরাসের মৃত্যুপুরী ইতালি, আরও বাড়াল লকডাউন, আলাদা করা হতে পারে পরিবারকেও

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে মৃত ১১,৫৯১
  • পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন
  • লকডাউন করার্যকর করতে রীতিমত কড়া প্রাশাসন
  • পরিবারের সদস্যদেরও আলাদা থাকার পরামর্শ
     

করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর চিন হলেও এই ভাইরাসের ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখছে ইতালি। করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে গোটা দেশ জুড়েই। সোমবার ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫শ ৯১ জনের। সোমবার নতুন করে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ইতালি প্রশাসন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ইতালিতে লকডাউন জারি থাকবে বলেই জানান হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে থাকায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থেকবে বলে ঘোষণা করেছে ইতালি প্রশাসন। 

আরও পড়ুনঃইরান যেন এশিয়ার ইটালি, করোনা রোখার বিশ্বাসে মেথানল পান করে মৃত্যুর কোলে ৩০০

Latest Videos

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের পাকিস্তানে সেনা, মৃত্যু বেড়ে ১৭

করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত তিন সপ্তাহ ঘরেই ঘরবন্দি ইতালি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমত কড়া স্থানীয় প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায়া নামানো হয়েছে পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমেও নজর রাখা হচ্ছে লকডাউনে। বন্ধ সমস্ত দোকানপাট। জরুরী পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় যান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উন্নত এই দেশটিকে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৬১ জনর চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। শুধু সোমবারই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। 


তবে বিজ্ঞানী আন্দ্রে ক্রিসান্তির মতে 
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনেরও তেমন সাফল্য আসেনি। কারণ যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা আইসোলেশনে না থাকায় পরিবারের বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছে। তেমনই বলছে সমীক্ষা। তাই তিনি লকডাউনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার তত্ত্বে আরও বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন অযোথা পরিবারের সদস্যরা নিজেদের সান্নিধ্যে না এসে দূরত্ব বজায় রাখে চললেই সুফল পাওয়া যেবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, পরিবারের কোনও সদস্যের যদি সামান্যতম করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার অনুসর্গ পাওয়া যায় তাহলে কাল বিলম্ব  না করে সেই ব্যক্তি তৎক্ষণাত আইসোলেশনে চলে যাওয়া উচিৎ। স্বাস্থ্য কর্মীরা যতক্ষণ না তাঁকে নিয়ে যায়ও ততক্ষণ পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে আলাদা থাকাই শ্রেয়। এই পন্থা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, করোনার আঁতুড়ঘর চিনও এই পন্থা অবলম্বন করেছিল। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্যই WAQF Board তৈরি করেছে Congress' বিস্ফোরক PM Modi | PM Modi Speech
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু! তার আগেই বিরোধীদের কড়া বার্তা PM Modi | Parliament Winter Session 2024