করোনা মহামারির শেষ কোথায়, প্রশ্ন তুলল চিনে ডেল্টার নতুন বংশ AY-4-র বাড়তে থাকা সংক্রমণ

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজিং-এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্স। তার আগে নতুন করে করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণ চিনা প্রশাসনের কপালে উদ্বেগের ভাঁজ আরও চওড়া করেছে। 

Saborni Mitra | Published : Dec 13, 2021 1:06 PM IST

চিন (China) নতুন করে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। ঝেজিয়াং প্রদেশে সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে  কোভিড ১৯ (COVID 19) ডেল্টা স্ট্রেইন। কারণ বিশেষজ্ঞদের অনুমান ডেল্টা স্ট্রেইনের উপ-বংশ  এওয়াই-৪ (Delta Strain Sub-Lineage AY-4 ) থেকেই এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে ঝেজিয়াং প্রদেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 


২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজিং-এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্স। তার আগে নতুন করে করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণ চিনা প্রশাসনের কপালে উদ্বেগের ভাঁজ আরও চওড়া করেছে। সংক্রমণ রুখতে  রীতিমত তৎপর প্রশাসন। রাষ্ট্র পরিচালিত সিনহুয়া সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে রবিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝেজিং প্রদেশের ৫-১২ ডিসেম্বর ১৩৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে অধিকাংশেরই কোনও উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়নি। চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিজিটিএন -টিভি দাবি করেছে এই প্রথম চিনে ডেল্টা করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের রিপোর্ট করা হয়েছে। 

নতুন এই করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং  ও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অধিকাংশই আক্রান্ত হয়েছে ডেল্টা স্ট্রেইনের উপ-বংশ AY.4-এর মাধ্যমে। যা ডেল্টার তুলনায় আরও সংক্রমণ যোগ্য। করোনাভাইাসের থেকে এটি বেশি লোড বহন করে বলে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের দফতরের এক  কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

ঝেজিয়াং প্রদেশের মোট জনসংখ্যা ৬৪.৬ মিনিয়ন। ভাইরাসটি  যেহেতু আগেরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম তাই নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঝেজিয়াং প্রদেশের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ান হয়েছে নজরদারি। পরীক্ষাও আগের তুলনায় বাড়ান হয়েছে। সোমবার নতুন করে আগও ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে সেগুলি ডেল্টার উপবংশের কারণে সংক্রমণ কিনা তাও এখনও স্পষ্ট নয়। 

তবে আগেই দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তারপরেও সংক্রমণ বাড়ায় প্রশ্মের মুখে পড়েছে বেজিং-এর করোনা নীতি। ২০১৯ সালে উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে । বর্তমানে চিনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯.৭৮০। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮১ জন রোগী এখনও হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে। যারমধ্যে ২৭ জনের অবস্থা গুরুতর। 

বর্তমানে গোটা বিশ্বেই ওমিক্রন আতঙ্ক বাড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপে বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটেনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে সোমবার। 

TMC On Ranjan Gogoi: 'বিতর্কিত মন্তব্য' , রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার নোটিশ তৃণমূলের

Omicron Threat: দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত আরও ১, তবে করোনার তথ্য পরিসংখ্যানে স্বস্তি

COVID Epidemic: কোভিড মহামারি শেষ হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কী করে নেওয়া হবে

Share this article
click me!