গত ২৫ নভেম্বর ওমিক্রন প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় মহামারি বিশেষজ্ঞ সেলিম আবদুল করিম বলেছেন এটি প্রথম বাতসোয়ানা আর তার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজন্ম ওমিক্রন (Omicron)। যা নিয়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বৃহস্পতিবার ভারতেও দুই জন আক্রান্তেরের সন্ধান পাওয়া গেছে ওমিক্রনের। কোভিড (COVID 19) তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ২০টিরও বেশি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওমিক্রনে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তখনই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন এই প্রজাতির চরিত্র বুঝতে সময় লাগবে। কারণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ওমিক্রনের প্রচুর পার্থক্য রয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর ওমিক্রন প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় মহামারি বিশেষজ্ঞ সেলিম আবদুল করিম বলেছেন এটি প্রথম বাতসোয়ানা আর তার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করা হয়েছিল। যদিও মঙ্গলবার ডাচ সরকার জানিয়েছেন ১৯ নভেম্বর এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন যার শরীরে ওমিক্রণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ওমিক্রন ৯ নভেম্বর ২০২১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ফরাসি সরকার জানিয়েছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে এই রোগের সংক্রমণ হচ্ছে।
বর্তমানে ওমিক্রন নিয়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের কথায় এটির চরিত্র এখনও স্পষ্ট করে বোঝায় যায়নি। এটি কী ভাবে মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলবে তাও স্পষ্ট নয় বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে এটি যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা অনেকাংশেই নিশ্চিত রয়েছেন তাঁরা। সেই বর্তমানে সবকটি মহাদেশেই ওমিক্রনের কালো ছায়া পড়েছে। বিশ্বের ২০ দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সন্ধাপ পাওয়া গেছে। তাই করোনার নতুন রূপ নিয়ে গোটা বিশ্ব জুডে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ওমিক্রন নিয়ে সকর্ত করেছে বেশ্বের সবকটি দেশ।
বর্তমানে কোভিডের সবথেকে মারাত্মক রূপ হিসেবে সামনে এসেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ডেল্টা রূপের ভয়াবহতা দেখে ভারতও। তাই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন ওমিক্রন কী ডেল্টাকেও ছাড়িয়ে যাবে? বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান সেন্টাপ ফর ডিজিস কন্ট্রোল বলেছেন দক্ষিণ অফ্রিকার প্যাটানটি ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। ওমিক্রন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে ডেল্টার খুব বেশি উপস্থিতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিল না। মার্কিন বিশেষজ্ঞ একির টোপোল বলেছেন ওমিক্রন ডেল্টার মত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াবে নাকি প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের কাছে ওমিক্রন মোটেই বিপজ্জন নয়। তাঁদের কথায় এটির চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু সেই দেশে প্রথমে যে ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। বাড়ি থেকেই তারা সুস্থ হয়ে গেছে। তাই রোগের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক হবে না বলেও তাদের ধারনা।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে বিশেজ্ঞরা এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তাঁদের কথায় আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় টিকাগুলি উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলির বিরুদ্ধে কাজ করে। কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারীতা নিয়ে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা চলছে। প্রথমিকভাবে বিষেষজ্ঞদের মতে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কোনও টিকা পুরোপুরি কার্যকার না হলেও একেবারে অকার্যকর হবে না। মিউটেশনের ফলে ওমিক্রন দুর্বল হয়েছে। যার অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া ছাড়াও শরীরে সেকেন্ডারি টি সেল তৈরি করেছে। যা গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে।
Heron Drone: ভারতের হাতে হেরন ড্রোন, পূর্ব লাদাকে লাল ফৌজের ওপর নজরদারিতে শক্তিবৃদ্ধি
Goa TMC: নতুন টার্গেট তৃণমূলের, অভিষেক-মমতার গোয়া সফরে বদলে যেতে পারে রাজনৈতিক সমীকরণ
Mamata Banerjee: বিনিয়োগের ঝুলি নিয়ে কি নবান্নে গৌতম আদানি, দীর্ঘ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে