একটি বেসরকারি হাসপাতালের করা একটি সমীক্ষার পর এমনই তথ্য সামনে এসেছে। ম্যাক্স হেলথকেয়ারের সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে মৃত্যুর হার মূলত ৭০ বছরের বেশি বয়সী এবং কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসুস্থতায় আক্রান্তদের মধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে।
যাঁরা করোনা টিকা নেননি (completely unvaccinated) বা এখনও ডোজ বাকি রয়েছে (Partially vaccinated), করোনা ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে (third wave) তাঁদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেশি (60 per cent Covid deaths)। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের করা একটি সমীক্ষার পর এমনই তথ্য সামনে এসেছে। ম্যাক্স হেলথকেয়ারের সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে মৃত্যুর হার মূলত ৭০ বছরের বেশি বয়সী এবং কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসুস্থতায় আক্রান্তদের মধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে।
একটি সরকারী বিবৃতিতে, হাসপাতাল বলেছে, এখনও পর্যন্ত ৮২ জনের মৃত্যুর মধ্যে, ৬০ শতাংশ আংশিক বা সম্পূর্ণ টিকাবিহীন মানুষই রয়েছেন। এমনকি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও জোর দিয়ে বলেছেন যে মৃত্যুগুলি সেই সমস্ত রোগীদের মধ্যে ঘটছে যারা ইমিউনোকম্প্রোমাইজড এবং কোমর্বিডিটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনটি কোভিড তরঙ্গের তুলনামূলক গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে তৃতীয় তরঙ্গের সময় মাত্র ২৩.৪ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল ৭৪ শতাংশ রোগীর ও প্রথম তরঙ্গের সময় ৬৩ শতাংশ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দিল্লিতে এপ্রিলে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন ২৮ হাজার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল, তখন সমস্ত হাসপাতালের কোনও বেড, পাশাপাশি, আইসিইউ খালি ছিল না। কিন্তু এই তৃতীয় তরঙ্গের সময় যখন গত সপ্তাহে বেশি সংখ্যক কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল, তখন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তরঙ্গের সময় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা যথাক্রমে ২০,৮৮৩, ১২,৪৪৪, এবং ১,৩৭৮ জন। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীরা মাস্ক পরতে পারে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয় বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। তারা কতক্ষণ সুরক্ষিতভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে পারছে, তার উপর নির্ভর করে এবং অভিভাবকদের নজরদারিতেই এই বয়সীদের মাস্ক পরানো উচিত বলে মত কেন্দ্রের। তবে একই সাথে ছোটরা যারা মাস্ক পরবে, তাদের ক্ষেত্রে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া অথবা অ্যালকোহল-যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন- বাড়ছে নমুনা পরীক্ষা, কমছে সংক্রমণের হার, একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলার করোনা চিত্র
Covid 19: ওমিক্রনের সঙ্গে ডেল্টার তুলনা, গবেষণা বলছে মূল পার্থক্য ভাইরাল লোডে
সারা বিশ্বের করোনার চরিত্র বিশ্লেষণ করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও কোন এক্সপার্ট কমিটির পরামর্শের উপর বিশেষ জোর দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার করে জানানো হয়নি কেন্দ্রের তরফে। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব ১৮-দের রেমডেসিভির, মলনুপিরাভির, অ্যান্টিবডি ককটেল না দেওয়া ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি করোনা ভাইরাস একটি ভাইরাল সংক্রমণ এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বা কমাতে অ্যান্টিমাইক্রোবায়ালদের কোনও ভূমিকা নেই।