আরেক আফ্রিদির উদয়! মাথা উঁচু করেই অভিযান শেষ করল পাকিস্তান

Published : Jul 05, 2019, 11:08 PM ISTUpdated : Jul 05, 2019, 11:45 PM IST
আরেক আফ্রিদির উদয়! মাথা উঁচু করেই অভিযান শেষ করল পাকিস্তান

সংক্ষিপ্ত

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল পাকিস্তান প্রথমে ৩১৫/৯ রান তুলেছিল তারপর বাংলাদেশকে ২২১ রানেই অলআউট করে দিল শাহিন আফ্রিদি নিলেন ৩৫ রানে ৬ উইকেট

বিশ্বকাপ ২০১৯-এর শেষ ম্যাচে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পাকিস্তানের সামনে একটা অসম্ভব লক্ষ্য ছিল। তা অবশ্যই পূরণ হয়নি। কিন্তু তারপরেও মাথা উঁচু করেই দেশে ফিরবে সরফরাজ বাহিনী। শুক্রবার লর্ডসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ইমাম উল-হক (১০০) ও বাবর আজম (৯৬)-এর দুর্দান্ত ব্যাটিং-এর সৌজন্যে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৬ রান করেছিল কারা। আর তারপর ১৯ বছরের বাঁহাতি জোরে বোলার শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংস ২২১ রানেই গুটিয়ে দিলেন। শেষ ম্যাচে জয় এল ৯৪ রানে।

এদিন লর্ডস-এ টসে জেতাটা পাকিস্তানের প্রথম লক্ষ্য ছিল। সেটা ঘটেওছিল। আর তারপর ব্য়াট নিয়ে বেশ ভাল শুরু করেছিল পাকিস্তান। ফখর জামান (১৩) ফিরে যাওয়ার পর দারুণভাবে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন ইমাম ও বাবর। বাবর ক্রমেই নিজেকে বিরাচট কোহলি কেইন উইলিয়ামসনদের স্তরে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এদিন ইমাম-ও খুব ভাল ব্যাট করেন।

৩২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। এখান থেকে এই দুই সেট ব্যাটসম্যান যদি তীব্র মারতে পারতেন, তাহলে রানটা সহজেই ৪০০-এর কাছাকাছি পৌঁছতে পারত। কিন্তু বাবর শতরানের করার ৪ রান আগে আর ইমাম শথরান করার পরই আউট হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান বড় ধাক্কা খায়। আর তারপর খেল দেখালেন বাংলাদেশের জোরে বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। ভারত ম্যাচের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ৫ উইকেট দখল করলেন ফিজ। আর তাতেই ৩১৬ রানের বেশি করতে পারল না পাকিস্তান।

আরও পড়ুন - বিদায়ী ম্যাচ নয়, শোয়েব মালিককে বিদায়ী নৈশভোজ দেওয়া হোক! কেন বলছেন আক্রম

আরও পড়ুন - ভারতীয় ব্যাটিং-কে দুষলেন শোয়েব, 'আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল'

আরও পড়ুন - ভারত-পাকিস্তান - '৪৭-এ ভাগ করেছিল ইংরেজরা, বিশ্বকাপে মিলিয়ে দিল তারাই

ফলে অঙ্কের হিসেব মতো পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে গেলে বাংলাদেশকে ৭ রানে অলআউট করে দিতে হত। এটা একেবারেই অসম্ভব, হয়ওনি। কিন্তু, এদিন গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা বাংলাদেশ ব্যাটিং-কে একেবারে নাকানি চোবানি খাইয়ে দিলেন পাক বোলাররা, বিশেষ করে ১৯ বছরের শাহিন। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে প্রথম নজর কেড়েছিলেন এই শাহিন। তারপর থেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।    

এদিন একেবারে নিজের প্রথম ওভার থেকে উইকেট নেওয়া শুরু করেন তিনি। তামিম (৮), লিটন (৩২), মাহমুদুল্লা (২৯), সইফুদ্দিন (০), মুস্তাফিজ (১) - প্রত্যেকেই তাঁর শিকার। আর এই ধ্বংসের মধ্যে যিনি এদিনও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সাকিব আল হাসান (৬৪)-এর উইকেটও দখল করেন এই তরুণ। যা ইমরান, ওয়াসিম ওয়াকারদের দেশের বিশ্বকাপে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। 

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা থেকে সমর্থকরা প্রত্যেকেই আফশোষ করতে পারেন এই ভেবে, শেষ দিকে তাদের যে পারফরম্যান্স দেখা গেল, তা যদি শুরু ম্যাচগুলিতে করতে পারতেন! আর যদি ভাগ্য একটু সহায় হত। বৃষ্টিতে কিন্তু পাকিস্তান দল ভালরকম ভুগেছে। কাজেই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

আইপিএল ২০২৬: কুইন্টন ডি ককের নাটকীয় প্রবেশ, নিলামের জন্য ৩৫০ জনের নাম চূড়ান্ত
'শান্ত থাকা মানেই নীরব নয়, নিয়ন্ত্রণ,' ইনস্টাগ্রাম পোস্ট স্মৃতি মন্ধানার