দলে বিরাট-রোহিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! কারোর তোয়াক্কা করেন না শাস্ত্রীরা

  • বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ভারত
  • দুদিন যেতে না যেতেই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল
  • কোহলি-শাস্ত্রী একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলে রয়েছে অসন্তোষও
  • বিনোদ রাইয়ের সমর্থনেই বারবার বেঁচে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন কোহলি

সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ ২০১৯-এর দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দুদিনও কাটেনি। এর মধ্যেই দলের মধ্যে গোষ্টীদ্বন্দ্ব, অসন্তোষের অভিযোগ উঠতে শুরু করল। এক হিন্দি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় দলের এক ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন, দলের মধ্যে দুটি গোষ্ঠী ছিল। একদল বিরাটের অনুগত, আরেক দল ঘনিষ্ঠ রোহিত শর্মার।

এখানেই শেষ নয়, ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দলের অন্যান্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই বিরাট কোহলি ও রবি শাস্ত্রী একতরফা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। এমনকী বিশ্বকাপের দলে রায়ডুর বদলে বিজয় শঙ্করকে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোহিল-শাস্ত্রীর এই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে।

Latest Videos

আরও পড়ুন - কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে! হেরেও ইংল্যান্ডে বসেই ফাইনাল দেখতে হবে বিরাটদের

আরো পড়ুন - ছিটকে যাওয়ার চাপেই কি কাবু বিরাট, বারবার নকআউটে ব্যর্থতার রেকর্ড তাই বলছে

আরও পড়ুন - দুই সেমিতে দুই বড় ভুল, শিকার ধোনি ও জেসন রয়! ক্ষোভের নিশানায় আইসিসি

ওই প্রতিবেদনে ক্রিকেটারটি আরও দাবি করেছেন, কোহলির প্রতি বোর্ডের ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের সমর্থন থাকার কারণেই কোহলির হাত শক্ত হয়েছে। এই কারণেই কুম্বলের সঙ্গে ঝামেলা, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১-২ ফলে ও ইংল্যান্ডে ১-৪ ফলে সিরিজ হারের পরও কোহলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এর ফলে ইচ্ছেমতো কোহলি তাঁর পছন্দের ক্রিকেটারদের দিনের পর দিন খেলিয়ে যান। রোহিত শর্মা বা জসপ্রিত বুমরার মতো ক্রিকেটাররা দলে অপরিহার্য। এঁদের বাদ দিলে কোহলির পছন্দসই না হয়ে উঠতে পারলে দলে সুযোগ পাওয়া নাকি কঠিন। যেমন কেএল রাহুল ফর্মে না থাকলেও তাঁকে চার নম্বরে কিংবা ওপেনে, তা যদি না সম্ভব হয় তবে ১৫ জনের দলে থাকবেনই। কারণ তিনি কোহলি- ঘনিষ্ঠ। একই কারণে এক স্পিনার খেললে, আরসিবি দলের চাহালকেই খেলাবেন কোহি, কুলদীপকে নয়। আর রায়ডুর বাদ পড়া নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, রায়ডু কবে ব্যর্থ হবেন, তার জন্য অপেক্ষায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।

দলে ক্ষোভ রয়েছে 'অদক্ষ' সাপোর্ট স্টাফদের নিয়েও। ওই প্রতিবেদনে ক্রিকেটারটি জানিয়েছেন, একমাত্র কোচ রবি শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণের কথাই নাকি বিরাট মেনে চলেন। তাঁর মতে এই দুই কোচ না সরলে দলের ভাল হবে না।

Share this article
click me!

Latest Videos

Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News