করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জেরে ব্যাপক আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হতে হয়েছে কম বেশি সব দেশকেই। ভবিষ্যতে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কাও করছেন অর্থনীতিবিদরা। কোরনার প্রকোপ থেকে বাদ যায়নি ক্রিকেটও। করোনার জেরে একের পর এক সিরিজ বাতিল, আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়া, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হওয়ার সম্ভাবনা, এই সবকিছুর কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন পড়তে হয়েছে ক্রিকেট খেলীয় দেশগুলিকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। কাটা হয়েছে বেতনও। এমনকী ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ করতে লোনও নিতে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। এছাড়া অবস্থা খারাপ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সহ একাধিক ক্রিকেট খেলীয় দেশের। এই পরিস্থিতিতে এখনও স্বাভাবিক রয়েছে কেবল মাত্র দুটি বোর্ড বিসিসিআই ও ইসিবি।
আরও পড়ুনঃকরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল প্রাক্তন মোহনবাগান প্লেয়ারের
কিন্তু করোনা ও তার জেরে আর্থিক ক্ষতির কারণে এখনও পর্যন্ত প্লেয়ারদের বেতন কাটেনি বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মীর বেতনও কাটা হয়নি। কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়নি। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল। তবে, আর্থিক ধাক্কা সামলাতে বোর্ডকে যে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে ধূমাল এও জানিয়েছেন এত বড়ো ধাক্কা সামলে বোর্ড চালাতে কিছু অসুবিধা হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআইকে। কিন্তু প্লেয়ারদের বেতনে হাত দেওয়ার পক্ষপাতি নয় সৌরভ। বরঞ্চ খাওয়া দাওয়া, যাতায়াতের খরচ সহ অন্যান্য কিছু এমন খাতে খরচ কমানোর চেষ্টা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুনঃকরোনাকে হারিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হলেন প্রাক্তন পাক ওপেনার
আরও পড়ুনঃ৩০ হাজার দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ,কোরানাকে থোরাই কেয়ার
করোনার কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। কোটি টাকার টুর্নামেন্টই বিসিসিআইয়ের ইনকামের প্রধান উৎস। কিন্তু আইপিএল যদি পুরোপুরি বাতিল হয়ে যায় তাহলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বিসিসিআইকে। তাই ধূমল জানিয়ে রেখেছেন,'করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে এখনও বেতন কাটা বা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হয়নি বিসিসিআইকে। আমরা অন্য খাতে খরচ কমাচ্ছি। পদাধিকারিদের যাতায়াতের খরচ, খাওয়া-দাওয়ায়র খরচ, এসব কমানো হচ্ছে। তবে আইপিএল বাতিল হলে আরও একবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে বেতন কাটার বিষয়টি।'কিন্তু প্লেয়ার ও কর্মীদের কথা ভেবে বিসিসিআই য়ে এখনও কোনও রকম বেতন কাটা বা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়নি,তাতে বিসিসিআইয়ের ভূমিকাকে কুর্ণিশ জানিয়েছে ক্রিকেট মহল। একইসঙ্গে খারাপ সময়ে বোর্ড চালানোর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দক্ষতারও প্রশংসা করেছেন সকলে।