লাদাখ ভারত-চিন সংঘর্ষের পরই দেশ জুড়ে চিনা দ্রব্য বর্জ্যনের ডাক উঠেছিল। একইসঙ্গে ডাক উঠেছিল আইপিএলের টাইটেল স্পনসর চিনা কোম্পিনা ভিভোকে বাতিল করার। কিন্তু রবিবার গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আইপিএলের সরকারি সূচি ঘোষণার পাশাপাশি রেখে দেওয়া হয় আইপিএলের সমস্ত চিনা স্পনসরকেই। এরপরই ঘরে বাইরে নানাভাবে চাপের মুখে পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রাজনৈতিক থেকে সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর বাদগ না দিলে ওঠে আইপিএল বয়কটের ডাকও। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো। অর্থাৎ ২০২০ সালের আইপিএলে টাইটেল স্পনসর থাকছে না ভিভো।
২০১৭ সালের চিনা মোবাইল সংস্থা ভিভো’র সঙ্গে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর বিসিসিআই-কে ভিভো দেয় ৪৪০ কোটি টাকা৷ পাঁচ বছরের চুক্তি বোর্ডকে মোট ২,১৯৯ কোটি টাকা দেবে চিনা এই মোবাইল সংস্থা৷ কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে মাত্র দু’বছর আইপিএল-কে স্পনসর করেছে ভিভো৷ বাকি রয়েছে আরও তিন বছরে৷ তবে চলতি বছরে সরে দাঁড়াল আগামী বছর থেকে বাকি তিন বছর অর্থাৎ ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ পর্যন্ত ভিভো আইপিএলে টাইটেল স্পনসর থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷ একইসঙ্গে খুব শীঘ্রই বিসিসিআইয়ের তরফে নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু আইপিএল শুরু মাত্র মাস দেড়েক আগে মূল স্পনসর চলে যাওয়ায় বিসিসিআইয়ের সমস্যা অনেকটা বাড়ল বলেই খবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে। তবে ভিভোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বণিক সভা।
রবিরবার সোশ্যাল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আইপিএলে চিনা স্পনসর রেখে দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ট্রেন্ড করছিল আইপএল বয়কটের ডাক। কাশ্মীরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছিল। একইসঙ্গে আরএসএস অনুমোদিত সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চও চিনা স্পনসর বাতিল না করলে আইপিএল বয়কটের ডাক তোলে। ফলে সোমবার থেকেই একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ভিভোর আইপিএল স্পনসরসিপ ছেড়ে দেওয়ার। মঙ্গলবার সেই আশঙ্কায় সত্যি করে ভিভোর তরফ থেকে এবছরের জন্য আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করা হয়। ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হতে চলা ২০২০ আইপিএলে নতুন স্পনসর দেখা যাবে৷ আগামী তিন দিনের মধ্যেই নতুন স্পনসরের জন্য টেন্ডার ডাকতে চলেছে বিসিসিআই৷