সালটা ছিল ২০১৩। সচিন তেন্ডুলকরের ১৯৯ তম টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ইডেনের উন্মাদনা ছিল চরমে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেরে বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ক্রিকেটের নন্দন কাননে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দুই ভারতীয় ক্রিকেট তারকার। একজন মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। অন্য জন বাংলার পেসার মহম্মদ সামি। দুই ক্রিকেটারই দুরন্ত অভিষেক হয়েছিল। ১৭৭ রানের ঝকঝকে একটা ইনিংস এসেছিল রোহিতের ব্যাট থেকে। আর ঘরের মাঠে সেদিন আগুন ঝরিয়েছিলেন বাংলা দল থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মহম্মদ সামি। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নিয়েছিলেন সামি।
আরও পড়ুন - মাথায় শিশির ফ্যাক্টর, পিঙ্ক বল টেস্টের জন্য অন্য পন্থায় অনুশীলন বাংলাদেশের
২০১৩ সালের পর ২০১৯। আবার ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামছে সামি। তবে ২০১৩ সালের সামির সঙ্গে ২০১৯ সালের সামির অনেক পার্থক্য। ২০১৩ সালের অভিষেক টেস্টে সামির কাছে ছিল নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। আর ২০১৯ সালের সামি ভারতীয় দলের তারকা। টিম ইন্ডিয়ার পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান তারকা। কেরিয়ারের সেরা ব়্যাঙ্কিং নিয়ে তিনি মাঠে নামতে চলেছেন। বিশ্বের টেস্ট বোলারদের তালিকায় সামি এখন সাত নম্বরে। পাশাপাশি এবারের টেস্টটাও ঐতিহাসিক। কারণ দেশের মাঠে প্রথমবার দিন রাতের টেস্ট খেলতে নামছে ভারতীয় দল। সামি মুখিয়ে আছেন নিজের দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখতে।
আরও পড়ুন - রাধিকা নয় রাতের সঙ্গী গোলাপি বল, ঐতিহাসিক স্বপ্নে ভাসলেন অজিঙ্কা রাহানে
২০১৬ সালে ইডেনে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সামির। সিএবি লিগে মোহনবাগান ও ভবানীপুরের খেলায় গোলাপি বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সামি। এবার ঘরের মাঠে গোলাপি টেস্ট খেলেত নামার আগে কি পরিকল্পনায় কোনও বদল করতে চলেছেন ভারতীয় পেস বোলার। সামি বলছেন না, লাল বলের খেলা বা গোলাপি বলের খেলা, তিনি একই রকম পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবেন। ক্রমাগত বদল করবেন নিজের লেন্থ। যাতে ব্যাটসম্যানরা দ্বিধায় থাকে। ঠিক যে ভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট বা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বোলিং করেছেন। সেই পরিকল্পনা নিয়েই ইডেনেও প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পরতে চাইছেন তিনি। দুরন্ত ফর্মের পাশাপাশি ঘরের মাঠ সামির কাছে আরও বড় একটা অ্যাডভান্টেজ।
আরও পড়ুন - পিঙ্ক বল টেস্ট নিয়ে উন্মদনা, সুখ-দুঃখ মিলিয়ে মিশ্র ছবি ময়দানে