করোনা আবহের মধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে ফিরেছে ফুটবল। বিশেষ করে ইউইরোপের দেশগুলিতে ফুটবল ফেরানোর তোরজোর জোর কদমে চলছে। শুরু হয়ে গিয়েছে বুন্দেশলিগা। যদিও সুরক্ষার কথা ভেবে অনুশীলন থেকে ম্যাচ ফুটবলার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ, কর্মীদের জন্য জারি করা হয়েছে একাধিক নিয়ম কানুন। ফুটবলের মত বডি কন্ট্যাক্ট খেলা যেখানে নিয়ম মেনে ধীরে ধীরে ফিরছে, সেখানে ক্রিকেটই বা পিছিয়ে থাকে কীভাবে। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। যে বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি চর্চা চলছিল সেই বল পালিশে থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এবার বল পালিশে থুতুর ব্যবহার ছাড়াও করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট ফেরার পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সবার সুরক্ষার জন্য,তার একটা গাইড লাইন প্রকাশ করল আইসিসি। সেই গাইড লাইনে একাধিক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্ব পূর্ণ নিয়মগুলি হল-
আরও পড়ুনঃস্পেন ও ইতালিকে সাহায্যের জন্য সলিডারিটি কাপ খেলবে ইউরোপের তিন শক্তিধর ক্লাব
আরও পড়ুনঃবল পালিশে করা যাবে না থুতুর ব্যবহার, জানিয়ে দিল কুম্বলে কমিটি
প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা
ম্যাচের আগে আইসোলেশন ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে ক্রিকেটারদের। শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এটাও বলা হয়েছে ট্রাভেল করার অন্তত ১৪ দিন আগে জানাতে হবে যে টিমের কেউ করোনা আক্রান্ত নন।
নিয়ম মেনে ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম স্যানিটাইজ
করোনা পরবর্তী সময়ে প্লেয়ারদের ম্যাচের আগে ও পরে তাদের যাবতীয় ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম স্যানিটাইজ করতে হবে। ক্রিকেটাররা কেউ অন্যের টুপি,তোয়ালে, জাম্পার এগুলো ধরতে পারবেন না।
বল পালিশে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
সরকারিভাবে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা না হলেও, আইসিসির দ্বারা গঠিত অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি ইতিমধ্যেই বল পালিশে থুতুর ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা আইসিসির শীলমোহরের। থুতু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কথা বলা হলেও, বল পালিশে ঘাম ব্যবহারে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি।
দুরত্ব বজায় রাখতে হবে
মাঠে ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে সব সময় ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেলিব্রেশনের সময়ও খুব একটা কাছাকাছি আসা যাবে না। খেলা শুরুর আগেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম।
আম্পায়রদের পড়তে হবে গ্লাভস
ম্যাচ চলাকালীন গ্লাভস পড়তে হবে আম্পায়ারদের। বল ধরার সময়ও আম্পায়ারদের গ্লাভস পড়ে বল ব্যাবহার করতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আম্পায়ারদের।
বোলারদের জন্য বিশেষ নিয়ম
বোলারদের কথা ভেবেও বেশ কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। মার্চের শেষদিক থেকে প্রায় সবাই ক্রিকেটের বাইরে। এতদিন পর ক্রিকেটে ফেরার পর বোলারদের যাতে চোট না লাগে, সেই কারণে আইসিসি বিশ্বের সমস্ত পেসারদের জন্য ফরম্যাট অনুযায়ী নির্দিষ্ট ট্রেনিং শিডিউলের সুপারিশও করেছে। টেস্টের জন্য দু’তিন মাস আগে থেকে ট্রেনিং শুরু করতে হবে। ওয়ান ডে-র জন্য ছয় সপ্তাহ। টি-টোয়েন্টির জন্যও একই, পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ।
আরও পড়ুনঃকন্যা সন্তানের বাবা হলেন বিশ্বের দ্রুততম মানব উসেইন বোল্ট
এরকম আরও অনেক রকমের গাইডলাইন এ দিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসির মেডিক্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটি পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আইসিসির অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরই এই সকল নিয়মগুলি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।