দুজনেই মুম্বাইকার। একজন ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর। সাত বছর হল ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। যার ঝুলিতে রয়েছে একশোটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। একদিনের ক্রিকেটে বছরের পর বছর সামলেছেন ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব। ওয়ান ডে তে মোট রান ১৮,৪২৬। সর্বোচ্চ ২০০। সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৯। পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে রানের সংখ্যা ১৫,৯২১, সেঞ্চুরি ৫১টি। অপরদিকে রোহিত শর্মা। বর্তমানে তাকে বলা হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বাদশা। পোষাকি নাম হিটম্যান। ছন্দে থাকলে ২২ গজে তার দিকে ধেয়ে আসতে ভয় পান বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলার। ৫০ ওভারের একটি নয়, দুটি নয় তিন-তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি তার নামে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। সচিন পরবর্তী যুগে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলির সঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে তুলনা প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু সচিন ও রোহিতকে নিয়ে তুলনা খুব একটা হয়না। সেই তুলনায় এবার করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাইমন ডুল। ওপেনার হিসেবে সচিনের থেকে রোহিত শর্মাকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃম্যাচ ফিক্সিংয়ে হঠাৎ ভারতের নাম কেন জড়ালেন প্রাক্তন পাকিস্তানি পেসার
শুধু মুখের কথা নয়, আইসিসি-র ‘ক্রিকেট ইনসাইড আউট’ অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান দিয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে মাস্টার ব্লাস্টারের থেকে হিটম্যানকে এগিয়ে রেখেছেন ডুল। প্রাক্তন কিউই ক্রিকেটার বলেছেন, “পরিসংখ্যানের দিকে তাকান। এক দিনের ক্রিকেটে রোহিতের গড় ৪৯, স্ট্রাইক রেট ৮৮। সচিনের গড় ৪৪, স্ট্রাইক রেট ৮৬। নম্বরের দিক থেকে রোহিতের পরিসংখ্যান অসাধারণ। সচিনের থেকেও যা ভাল। ৬০, ৭০, ৮০ রানের পরও স্ট্রাইক রেট বাড়াতে থাকে রোহিত। এমনকি, নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছেও ও আটকে যায় না। এক বিশ্বকাপে ৫টি সেঞ্চুরি করার অনন্য নজিরও রয়েছে রোহিতের। ও এমনই বিস্ময়কর এক ক্রিকেটার।সেই কারণেই আমার কাছে তালিকায় এক নম্বর নাম রোহিতেরই।”
আরও পড়ুনঃকিংবদন্তী চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে ভার্চুয়াল শোকসভার আয়োজন সিএবির
আরও পড়ুনঃবুন্দেসলিগায় ফুল ফুটিয়েছেন এই বাঙালি কোচ,জানুন রবিন দত্তের কাহিনী
সাইমন ডুলের এহেন মন্তব্যের পর স্বভাবতই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, সচিন ও রোহিত একসঙ্গে কিছু বছর ক্রিকেট খেললেও, দুজন দুই সময়ের প্লেয়ার। সচিন যখন ওপেন করত উইকেট বাঁচিয়ে রান করাই লক্ষ্য থাকত। পাওয়ার প্লে নিয়ম সচিন তার কেরিয়ারে পাননি। এত দ্রুত রানও করতে হত না তখন। কিন্তু দিম বদলেছে, বদলেছে ক্রিকেটের ধরনও। আধুনিক ক্রিকেট অনেক বেশি ফাস্ট। মনোরঞ্জনের জন্য কার্যত ব্যাটসম্যানদের খেলায় পরিণত হয়েছে ক্রিকেট। তাই রোহিতদের অনেক বেশি অ্যাটাকিং মুডে ব্যাট করতে হয়। দুজনেই গ্রেট। দুজনের মধ্যে তুলনা বৃথা বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।