পৃথিবী জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যার ফলে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দখা দিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আকাশেও। চলতি বছরে অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়াার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসার কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে অস্ট্রেলিয়াতেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারপরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। প্রয়োজনে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেও বিশ্বকাপ করার ভাবনা রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। এছাড়াও আর কী কী বিকল্প পথ রয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে এবার অভিনব প্রস্তাব দিলেন প্রাক্তন কিংবদন্তী ভারতীয় ব্য়াটসম্যান সুনীল গাভাসকর। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অদল বদলের প্রস্তাব দিলন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
আরও পড়ুনঃকরোনা ভাইরাস আমাদের অনেক দয়াশীল করে তুলেছে, বললেন বিরাট কোহলি
গাভাসকররে মতে, চলতি বছর ও তার পরের বছর দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যার মধ্যে প্রথমটি হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তার পরে ২০২১ সালে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। যদি এবছর অক্টোবরের আগে অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতি ঠিক না হয়,তাহলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বদলাবদলি করার প্রস্তাব দিয়েছেন গাভাসকর। গাভাসকেরর প্রস্তাব যদি কার্যকর হয়ও, তাহলে অক্টোবরের আগে ভারতেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা একেবারে নীচে নিয়ে আসতে হবে। কিংবদন্তী ভারতীয় ওপেনার জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি। ফলে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বকাপের মতো বড় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে অস্ট্রেলিয়ায়।আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যদি কয়েক মাস পরে ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং সংক্রমণের ভয় দূর হয়, তা হলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনের অধিকার বদলাবদলি করে নিতেই পারে। সে ক্ষেত্রে ভারত চলতি বছরে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল তা আয়োজন করতে পারে। আর আগামী বছর যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে হওয়ার কথা, তা আয়োজন করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।'
আরও পড়ুনঃআর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
আরও পড়ুনঃএই মরসুমের জন্য সিঁরি আ বাতিলের আবেদন জানাল সাতটি ইতালিয়ান ক্লাব
শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়,ভারত ও অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন অদল বদল করলে আইপিএল করারও সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন গাভাসকর। তার মতে, ‘যদি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজেদের মধ্যে বদলাবদলি করে নেয়, সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএল আয়োজন করাই যায়। এর ফলে ক্রিকেটাররাও প্রস্তুতি সেরে নিতে পারবে। তার পরে ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ।’ কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারীতে ভারতের থেকে নিরাপদ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কারণ বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে দেশগুলির তালিকায় ভারত আছে ১৭ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ৩৯-এ। ফলে ঘরের মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।