পিঙ্ক বল টেস্টে খেলতে নামার আগেই থেকেই যেন ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। টাইগার অধিনায়ক মমিনুল আগেই বলেছিলেন গোলাপি বলের থেকে অনেক বেশি সমস্যা ভারতীয় বোলিং সামলানো। গোলাপি বলের উত্সবে না মেতে বাংলাদেশ অধিনায়কের পা যে বাস্তবের মাটিতেই ছিল সেট বোঝা গেল প্রথম মিনিট থেকেই। ইশান্ত-উমেশ-সামির বোলিংয়ে ছোবলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পরল বাংলাদেশের ব্যাটিং। মিডিল অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেন শূন্য রানে। টাইগারদের ১০টি উইকেটই তুলে নিলেন ভারতীয় পেসাররা। ভারতের প্রথম পিঙ্ক বল টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন ইশান্ত। উমেশ পেলেন ৩টি উইকেট। ২টি উইকেট সামির। মাত্র ৩০.৩ ওভারেই শেষ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন - সচিন থেকে গৌতম গম্ভীর, গোলাপি ইডেনে নস্টালজিক প্রাক্তনরা
ভারতীয় পেসারদের বাউন্সারের সামনে দুই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান আহত হলেন। কনকাশন নিয়ম ব্যবহার করে দুই ক্রিকেটার পরিবর্তন করতে হল বাংলাদেশ টিমকে। যা ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার। লিটন ও নইম মাঠ ছাড়লেন চোট পেয়ে, তাদের বদেল মাঠে এলেন মেহদি ও তাইজুল। এদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভারতীয় পেসারদের সামলাতে না পারলেও টিম ইন্ডিয়ার উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা অনবদ্য কিপিং করলেন। নিলেন অসামান্য একটি ক্যাচ। পিঙ্ক বল টেস্টেই পঞ্চম ভারতীয় উইকেট কিপার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০টি শিকার করলেন পাপালি।
আরও পড়ুন - সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা পাওনা, ইডেনে একান্ত সাক্ষাতকারে ফারুক ইঞ্জিনিয়ার
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দাপটের সঙ্গেই শুরু করে ভারত। দুই ভারতীয় ওপেনারই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন। তবে মায়াঙ্ক বা রোহিত কেউই লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। পূজারা ও বিরাটের পার্টনারশিপ ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভারতের পিঙ্ক বল টেস্টে প্রথম অর্ধশতরান করলেন তিনি। ৫৫ রানে করে আউট হলেন পূজারা। এরপর অর্ধশতরান করলেন বিরাট কোহলিও। দিনের শেষ ভারতের রান ১৭৪/৩। বিরাট কোহলির অপরাজিত থাকলেন ৫৯ রানে। একই সঙ্গে অধিনায়েক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রান করলেন বিরাট। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ২৩ রান করে ক্রিজে আছেন সহ অধিনায়ক রাহানে। প্রথম দিনের শেষে ভারত এগিয়ে রয়েছে ৬৮ রানে। প্রথম দিনের শেষেই প্রথম পিঙ্ক বল টেস্ট জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে ভারত।
আরও পড়ুন - ভারতীয় পেসারদের বাউন্সারে কাত টাইগাররা, চোট পেয়ে হাসপাতালে লিটন