ক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এসেছিল তাঁর চোটের খবর। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হয়নি ভারতীয় দলের এক নম্বর পেসারের। তবে মাঠে বুমরার অভাব টের পেতে দেননি সামি-উমেশ-ইশান্তরা। এদিকে টিভির পর্দায় সতীর্থদের খেলা দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না জসপ্রীত বুমরার। টিম ম্যানেজমেন্ট এক নম্বর পেসারের চোট নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই তাঁকে ইংল্যান্ড পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল অস্ত্রপচার করতে হবে ভারতীয় ফাস্ট বোলারের। কিন্তু সেটার প্রয়োজন হয়নি। ইংল্যান্ডের ডাক্তারদের পরামর্শ, অস্ত্রপচার ছাড়া শুধু মাত্র বিশ্রামেই চোট মুক্ত হতে পারবেন বুমরা। তাই ডাক্তিরি পরিভাষায় বুমরা এখন রয়েছেন অটো হিল মোডে। বর্তমানে টিম ইন্ডিয়ার বোলিং বিভাগের এক নম্বর তারকা হলকা দৌড় ও ওয়ার্ম আপ শুরু করেছেন। কিন্তু অস্ত্রপচারের যদি প্রয়োজনই না থাকে তাহলে কেন তাঁকে ইংল্যান্ডে কেন পাঠানো হল ? ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট সুত্রের খবর বুমরার চোট নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি দল। তাই ইংল্যান্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের পরামর্শ মতই এগোন হয়েছে।
আরও পড়ুন - ক্রিকেটারদের জল খাওয়াতে, বোতল হাতে মাঠে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি ভাইরাল
কিন্তু মাঠে ফিরতে কতদিন সময় লাগবে ? সুত্রের খবর দীপাবলির বুমরার চোটের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে জাতীয় দলের ফিজিও নিতিন প্যাটেলের তত্ত্বাবধানে হবে বুমরার পরীক্ষা। তারপরই বোঝা যাবে মাঠে ফিরতে এখনও কতটা সময় লাগবে তাঁর। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে বুমরাকে একশো শতাংশ ফিটে করে মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভারতীয় দল। প্রয়োজনে যদি আরও দু-একটি সিরিজে তাঁকে দলের বাইরে রাখতে হয় তাতেও সমস্যা নেই ভারতীয় দলের।
আরও পড়ুন - ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে জিতল ইস্টবেঙ্গলই, স্পেন থেকে বার্তা পাঠালেন বোরহা