গত মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ জুড়ে বন্ধ সমস্ত ধরনের স্পোর্টিং ইভেন্ট। করোা মোকাবিলায় এক, দুই পেরিয়ে দেশে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। যেভাবে দেশজুড়ে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে তাতে কবে লকডাউন উঠবে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি অবস্থাতেই জীবন কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। নিজেকে ফিট রাখতে ঘরে চলছে শারীরিক কসরত টুকু। বেশির ভাগ সময়টাই পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এছাড়া সক্রিয়তা বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামাজিক সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মজরা মজার ভিডিও বানাচ্ছেন অনেকেই। শেয়ার করছেন পুরোনো স্মৃতিও। এই পরিস্থিতিতে যখন ফের খেলা শুরু হবে প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, লকডাউনের শেষে কি খেলোয়াড়রা আগের ছন্দে ফিরতে পারবেন? দীর্ঘদিন ঘরবন্দি অবস্থায় কাটানোর পর কাজটা সত্যিই সহজ নয়। তবে এইসব প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে নারাজা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃজার্মান চ্যান্সেলরের সবুজ সংকেত, মে মাসের দ্বিতীয় ভাগেই ফুটবল ফিরছে জার্মানিতে
আরও পড়ুনঃশুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা,চিনে নিন লিগের ইতিহাসে সেরা দশ গোল স্কোরারদের
শুধু বিরাট নয় কবে ফের ক্রিকেট শুরু হবে তার জন্য অপেক্ষা করছে দেশবাসী। জল্পনা চলছে, কবে ফের ছন্দে ফিরবে ক্রিকেট? কবে ফের জমে উঠবে ব্যাট-বলের লড়াই? কোহলি বলছেন,”আমি সবসময় ভাল চিন্তাভাবনা করছি। এবং নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করছি। আমি শুধু অপেক্ষায় আছি কবে খেলার মাঠে ফিরতে পারব। আমি জানি, যেখান থেকে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে পারব।” এমনিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা বড় বেশি বিশ্রাম পান না। বিশেষ করে যে সমস্ত ক্রিকেটাররা তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলেন তাঁরা। গোটা বছরই কোনও না কোনও সিরিজ লেগেই আছে। এঁদের জন্য এই সুদীর্ঘ লকডাউন খানিকটা শাপে বরের মতো। দীর্ঘদিন বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। কেউ রান্না করছেন, কেউ ওয়ার্ক-আউট করছেন আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনসুটি করছেন। কিন্তু কোহলি বলছেন, এসবের মধ্যেও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা জরুরি। এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। সব কিছু ঠিকঠাক তাকলে হয়তো অগাস্ট মাসেই ক্রিকেটে ফিরতে চলেছে ভারত। ধক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজ দিয়েই ২২ গজে নামতে চলেছে বিরাট-রোহিতরা। এখন শুধু অপেক্ষা করোনা নামক অন্ধকারের বিদায় দানিয়ে নতুন ভোরের।