সোমবার থেকে তিরুবন্থপুরমে শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের আন অফিসিয়াল টেস্ট। পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজ জয়ের পর এবার টেস্ট সিরিজেও দাপট দেখাতে চায় ভারতীয় ক্রিকেটার তরুণরা। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন শুভমান গিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় দলের নেতা বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। দুই ম্যাচে এই সিরিজে ভারতীয় নির্বাচকরা এক ঝটকায় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছেন। একদিকে যেমন তুরুণদের কাছে জাতীয় দলে খেলার দাবি পেশ করার সুযোগ তেমনই অভিজ্ঞদের কাছে আবার জাতীয় দলে ফিরে আসার লড়াই।
প্রথম টেস্টে নজর থাকবে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও উইকেট কিপার কেএস ভরতের দিকে। তিন ফরম্যাটে, পন্থকেই সিনিয়র টিম ম্যানেজমেন্টর পছন্দ, কিন্তু দিল্লির উইকেটকিপারের বিকল্পও তৈরি করে রাখতে চাইছেন নির্বাচকরা। তাই ফোকাস থাকছে কেএস ভরতের দিকে। পাশাপাশি দ্বিতীয় ম্যাচে নজর থাকবে দুই ওপেনারের দিকে। বাংলার অভিমণ্যু ইশ্বরণ ও গুজরাটের প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল। দুজনেই নিজেদের রাজ্য দলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেছেন। দলীপ ট্রফির ফাইনালে শতারনও এসেছে অভিমণ্যুর ব্যাট থেকে। টেস্টে ওপেনার সমস্যায় ভুগছে ভারতীয় সিনিয়র দল। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে একটা ভাল পারফরম্যান্স তাদের জাতীয় দলের দরজা খুলে দিতে পারে। এদিকে দুটি ম্যাচেই দলে আছেন অল রাউন্ডার বিজয় শঙ্কর ও শিভম দুবে। বিশ্বকাপে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন শঙ্কর। দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে চোট পেয়ে আবার ছিটকে যান। এবার তার কাছে পরীক্ষা নিজেক প্রামণ করে জাতীয় দলে ফিরে আসার। অন্যদিকে শিভম দুবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ ছন্দে খেলছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এ দলের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তার পারফরম্যান্স বেশ ভাল। এবার দেখার পালা ক্রিকেটার বড় ফরম্যাটে তিনি কি করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে এই সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন মাক্রম। যাকে আগামী দিনে প্রোটিয়া সিনিয়র দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে। একাই সঙ্গে এই দলের আছেন লুঙ্গি এনগিডি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিনিয়র দলের ভারত সফরে তিনি আছেন। তার আগে চোট কাটিয়ে ছন্দে ফেরার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলে তাঁকে রাখা হয়েছে।