কুমারী পুজো বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। উল্লেখ্য, ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন, সরকারি নির্দেশিকা ও কোভিড বিধি মেনেই এখানে পুজোর আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার নবমী তিথিতে।
কোভিড আবহের (Covid Situation) মধ্যেও কুমারী পুজো বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে (Sarba Mangola Temple)। তবে সরকারি নির্দেশিকা ও কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার নবমী তিথিতে (Navami)। উল্লেখ্য, ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন।
দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুমারী পুজো।মহাষ্টমীতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপে এবং বনেদি বাড়িরগুলিতে কুমারী পুজোর প্রচলন আছে। আচার-অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। অনেক জায়গাতে নবমী তিথিতেও কুমারী পুজো হয়ে থাকে। পরম্পরায় যা বছরের পর বছর হয়ে আসছে। ঠিক তেমনই রীতি মেনে নবমীর দিন কুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। রীতি মেনেই নবমীর দিন নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। বাহির সর্বমঙ্গলা অঞ্চলে বাস করা চুনুরীদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ঠি পাথরের অষ্টাদশী ভূজা দেবী মূর্তি বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে মহতাব চাঁদ মন্দির তৈরী করেন। রাজা নেই তো কি হয়েছে, রাজার নিয়ম নীতি সবই এখনও বর্তমান। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই রাজ পারিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে জেলা ও ভিন জেলার বহু ভক্ত এদিন নবকুমারী পুজোয় উপস্থিত হন।
সর্বমঙ্গলা মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন,কোভিড বিধি মেনেই কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। লকডাউন ও করোনা মহামারির জন্য মন্দিরের নিয়ম নীতিতে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে সরকার নির্দেশনা মেনে।তবে গত বছরের তুলনায় কোভিড সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় ভক্তদের ভিড় বেড়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে