'মাতৃ রূপেন' , এই বার্তা দিতেই পতিতাপল্লির শিশুদের নিয়ে পুজো হয় রমেশ দত্ত স্ট্রিটে

Published : Sep 10, 2022, 03:56 PM IST
'মাতৃ রূপেন' , এই বার্তা দিতেই পতিতাপল্লির শিশুদের নিয়ে পুজো হয় রমেশ দত্ত স্ট্রিটে

সংক্ষিপ্ত

নিতান্ত সাদামাটা পুজো। কিন্তু প্রাণ রয়েছে উত্তর কলকাতার রমেশ দত্ত স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোত।  কারণ এই পুজো সার্বজনীন হলেও অনেকটা বাড়ির পুজোর মতই হয়। এখানে এক সঙ্গে ধনী দরিদ্র মানুষের সঙ্গে পতিতাপল্লির বাসিন্দারা একসঙ্গে অঞ্জলি দেয়। 

নিতান্ত সাদামাটা পুজো। কিন্তু প্রাণ রয়েছে উত্তর কলকাতার রমেশ দত্ত স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোত।  কারণ এই পুজো সার্বজনীন হলেও অনেকটা বাড়ির পুজোর মতই হয়। এখানে এক সঙ্গে ধনী দরিদ্র মানুষের সঙ্গে পতিতাপল্লির বাসিন্দারা একসঙ্গে অঞ্জলি দেয়। এই পুজোয় কোনও ওরা আমরা ভেদ নেই। সাধারণ বাড়ির শিশুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজোর আনন্দ উপভোগ  করে পতিতা পল্লির শিশুরা। এখানেই শেষ হয় পুজোর ফান্ড থেকেই অসহায় শিশুদের সারা বছর পুজোর খরচ চালায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দেওয়া হয় চিকিৎসা পরিষেবা আর  আর বইপত্র। 

তাই ভালো পুজো, বড় মণ্ডল, প্রচুর আলো এখানে নেই। এখানে দেবী নিছকই একজন মা- যাঁর কাছে তাঁর সকল সন্তানই সমান। তাই প্রচুর আলো না থাকলেও এখানে প্রাণ আর সাম্যের আনন্দ রয়েছে। পুজোর কটা দিন মিলে মিশে এক হয়ে থাকার অঙ্গীকার  করে এই পুজো। 

৭৭ বছরের পুরনো পুজো। উত্তর কলকাতার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে একটি।  ৫২ বছর আগে এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছিল আনন্দ মন্দির ক্লাব। তারপর থেকে এই ক্লাবই পরিচালনা করে এই পুজো। তবে ৩০ বছর আগে থেকেই এই পুজোর মোড় ঘুরে যায়। আজ থেকে তিরিশ বছর আগে ক্লাব কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পতিতা পল্লির ৩০টি শিশুর দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল এই পুজোর সময়। তারপর থেকে পুজোর সমস্ত জাঁকজমক ছেঁটে ফেলে সমাজসেবায় ব্রতী হয় ক্লাবের সদস্যরা। সেই সময় পতিতাপল্লির ছেলে মেয়েদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে একটি ফ্রি কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। আজ সেই কোচিং সেন্টারের সদস্য সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে। 

ক্লাব কর্তৃপক্ষের কথায় পতিতাপল্লির ছেলে মেয়েরা বরাবরই অন্ধকারের পথে হারিয়ে যায়। তাই ছোট থেকেই তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।  তাতে রীতিমত সাড়াও পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। তারাই জানিয়েছেন পাড়ার বাসিন্দা আর পতিতা পল্লির বাসিন্দা একজোট হয়ে পুজো করেন। এখানে পুজোর দিনগুলিতে কোনও ভেদাভেদ থাকে না। দেবী সকলের, মায়ের কাছে কেউ ছোট বড় নয় এই বার্তাই তাঁরা দিতে চান। 

এখন ফ্রি কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি পতিতাপল্লির শিশুদের বিনামূল্য বই দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের খাতা পেন পেনসিলও যোগান দেয় আনন্দ মন্দির ক্লাব। সারা বছর শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাটাই ক্লাবের মূল লক্ষ্য। এক সদস্য জানিয়েছেন, এক জন শিশুও যদি বড় হয়ে এই পতিতাপল্লি থেকে তার মা-কে বাইরে নিয়ে যেতে পারে সেটাই তাদের কাছে সবথেকে বড় আনন্দ হয়ে দাঁড়ায়। 

পঞ্চমী থেকে দশমী শুধুই মহালয়া, উল্টোডাঙা কর বাগানের পুজোতে এমনই অভিনব থিম
দেবতা এক- তাঁকে যেভাবে ইচ্ছে ডাকুন সাড়া দেবে- এমনই থিম নিয়ে হাজির হচ্ছে মেছুয়াবাজার সর্বজনীন

পুজোর ফ্যাশান 'ইন্ডিয়ার বিগেস্ট পাপ্পু' ছাপ টিশার্ট, খোলা বাজারে বিক্রি বাড়ছে বলে দাবি তৃণমূলের

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Durga Puja 2025: সঙ্ঘাতির 'দ্বৈত দুর্গা' থিমে বাংলার দুর্গা এবং শেরাওয়ালি মাতা, বিষয়টা ঠিক কী?
Durga Puja 2025: দুর্গাপুজোয় চাঙ্গা রাজ্যের অর্থনীতি? ১০-১৫% বৃদ্ধির সম্ভাবনা, আনুমানিক ৪৬,০০০-৫০,০০০ কোটি টাকা