রবিবারও তিনি সকাল-সকালই ভোট দিলেন। বয়স ১০০ ছাড়িয়েছে শ্যাম সরণ নেগি-র। শরীর এখন অশক্ত। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন না, তা কি হয়? সেই ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে, প্রথম ভোটটা তিনিই দিয়েছিলেন। তারপর থেকে পরের ১৫ বার কখনও মতদানে বিরত থাকেননি। তাই ১০২ বছর বয়সেও হিমাচল প্রদেশের কল্পা-র এক ভোটকেন্দ্রে এদিন সকালে তিনি ভোট দিলেন। এই নিয়ে ১৭তম বার।
এইবারের লোকসভা নির্বাচনের ফোকাসে রয়েছেন প্রথমবারের ভোটাররা। এইবারই ২০০০ সালের পরে জন্মগ্রহণ করা ভারতীয়রা প্রথমবার মতদান করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই নবীন ভোটারদের ভিড়ে শ্যাম সরণ নেগি-দের মতো প্রবীন ভোটাররা বিরল। সত্যি বলতে তাঁর মতো ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচন থেকে এই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ১৩২ কোটি জনসংখ্যার ভারতে হাতে গোনা। আর তিনি তো বিরলের মধ্যে বিরলতম।
শ্যাম সরণ নেগি এদিন হিমাচল প্রদেশের কল্পার ভোট কেন্দ্রে এসেছিলেন আত্মীয়দের সহায়তায়। বুথের মধ্যে ভোটকর্মীরাও তাঁকে যথাসম্ভব সহায়তা করেছেন। মাথায় ঐতিহ্যবাহী হিমাচলী টুপি দিয়ে সঙ্গে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন ভারতের প্রথম ভোটার। বুথে ঢুকে আর পাঁচজন ভোটারের মতোই নির্বাচনী আধিকারিকদের পরিচয়ের প্রমাণ দিয়ে স্বাক্ষর করেন। তারপর বুথে উপস্থিত ভোট কর্মীরাই তাঁকে পর্দার ঘোরাটোপে থাকা ইভিএম -এর সামনে নিয়ে যান। ভোটদানের পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের গর্বের সঙ্গে তিনি আঙুলের কালি দেখিয়েছেন।