ঐন্দ্রিলা সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন-নির্ভর, গ্লাসগো কোমা সেলের মাত্রা ৫-এরও কম, জানাল হাসপাতাল

শুক্রবার রাতের পোস্টে সব্যসাচী লেখেন, ‘এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা এক প্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে। এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।’

শুক্রবার রাতে সব্যসাচী চৌধুরীর পোস্ট স্বস্তি দিয়েছে সবাইকে। তার পরেও প্রশ্ন থিতিয়ে, শনিবার কতটা অবস্থার উন্নতি হল ঐন্দ্রিলা শর্মার? এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল হাওড়ার, আন্দুলের বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুরোপুরি ভেন্টিলেশন-নির্ভর হয়ে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এখনও নিজে থেকে কোনও কিছুই চলছে না তাঁর। রক্তচাপ ঠিক রাখতে ইন্ট্রোপস এবং অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। গ্লাসগো কোমা সেলের মাত্রা ৫-এরও কম।

শুক্রবার রাতের পোস্টে সব্যসাচী লেখেন, ‘এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা এক প্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে। এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।’ অভিনেতার এই পোস্টে নিমেষে উজ্জীবিত করেছে তাঁর এবং ঐন্দ্রিলার অসংখ্য অনুরাগীদের। তিনিও যেন হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা তাঁর চোখ খুলে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নীচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি, হার্টরেট এক লাফে ৯১। রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০। শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এল মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি? যেতে দিলে তো যাবে।’

Latest Videos

 

 

বুধবার এই ছবিটাই ছিল অন্য। সকাল থেকে একের পর এক হৃদরোগে বিপর্যস্ত ঐন্দ্রিলা। আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী এবং অভিনেত্রীর পরিবার। সে ঘটনারও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ফেসবুকে, ‘শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরো সার্জনকে ডেকে আনা হল। তিনি খানিক নাড়াচাড়া করে জানালেন যে, “ও চলে গেছে অনেক আগেই। শুধু শুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? এমনিতেও কালকের মধ্যে সব থেমেই যাবে। লেট্ হার গো পিসফুলি।” সবাই দমে গেলেও দমেননি সব্যসাচী। রাত বেড়েছে। দাঁতে দাঁত চেপে ছোট্ট, অসাড় হাতটা ধরে বসে থেকেছেন। অভিনেত্রীর চোখদুটো অনেক আগেই স্থির। একটা করে হৃদস্পন্দন কমছে। অসহায়তা বাড়ছে অভিনেতার। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগেই দেখা করে গিয়েছেন। মাঝে মধ্যেই ফোন আসছে, ‘আজ রাতেই হবে? নাকি সকালে আসব?’

সব্যসাচী আরও জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার রক্তচাপ কমতে শুরু করল। ওর মা-বাবাকে ডাকলাম, বাকিদের খবর দিলাম। আর বাধা দিইনি কাউকে। সারা দিন ধরে কাছের মানুষেরা এসেছেন, ওকে ছুঁয়েছেন, ডুকরে কেঁদেছেন। কত স্মৃতিচারণ, কত গল্প। বিকেলের পর দেখলাম হাত-পা-মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার। শরীর ঠান্ডা। হৃদস্পন্দন কমতে কমতে ৪৬, রক্তচাপ ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই আমার মাথায় ঘুরছিল। ওর শরীরটাকে এভাবে আটকে রাখার জন্য নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে। থাকতে না পেরে ওর মাকে বললামও যে, এত কষ্ট আর দেখতে পারছি না। কী দরকার ছিল এত কিছু করার? শান্তিতে যেত। মুখে বলছি বটে, কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি? মায়ার টান বড় কঠিন।’

আরও পড়ুন

‘ঐন্দ্রিলা আছে ঐন্দ্রিলা থাকবে, রাখে বড়মা তো মারে কোন…’! ফিনিক্সের ডানা মেলার ইঙ্গিত দিলেন সব্যসাচী

‘বিশ্বাস, ইচ্ছাশক্তি মিললে তবেই অলৌকিক ঘটবে, শুধু প্রার্থনায় নয়’, প্রার্থনা বিতর্কে অকপট অনিন্দ্যপুলক

‘ঈশ্বর ফেসবুক করেন না জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন: সব্যসাচী

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee: 'মোদী কিছু দেয় নি আমি ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছি' বিতর্কিত মন্তব্য মমতার
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla