মীরের মতো জীবনটাকে এমনই ‘লোমহর্ষক’ করতে চাইলে ছোটদের কী করতে হবে? তাঁর পরামর্শ, আজকের বাচ্চারাও তো বড়দের মতোই মোবাইলে ঘাড় গুঁজে। চারপাশে চোখ কই?
শিশুদিবসের দিন মীর আফসার আলি চুরি করেছিলেন! সাল ১৯৮৫। সঞ্চালক-অভিনেতার মাত্র ১০ বছর বয়স। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন। তাঁর কথায়, ‘১০ বছরে ১০০ টাকা চুরি করেছিলাম। ধরা পড়তেই তেড়ে ঝাড় আর মার!’ ভাবা যায়! হঠাৎ এমন গল্প প্রকাশ্যে কী করে? এরও নেপথ্য কাহিনি আছে।
মীর যেমন দমকা হাওয়া। শিশুদিবসে তেমনি দামাল! উদযাপন থাকবে আর মীর থাকবেন না? ১৪ নভেম্বরের সকাল ঝলমলে ফেসবুকে এক ঝলক দুষ্টুমি উপহার দিতেই। এ দিন তাঁর নয়া অবতার, তিনি ‘লোমহর্ষক বেবি’! নতুন নামকরণে আহ্লাদিত তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু কেন এ হেন নামকরণ? ছবিতে মীর এ দিন ছেলেবেলার মতো স্কুলের পোশাকে হাজির। কান ধরে তাঁর কড়া শাসন চলছে। সঞ্চালকের মুখের দশা দেখার মতো! ছবি দিয়ে কাতর মিনতি, ‘আজ ছেড়ে দাও মা… আজ আমাদের দিন!’ সেই ছবিতে মীরের হাতের লোম দেখা না গেলেও পায়ে প্রচণ্ড লোম। দেখেই জনৈকের প্রশ্ন, ‘একি! বাচ্চার পায়ে এত লোম কেন?’ মীরও স্বমহিমায়। সঙ্গে সঙ্গে নিজের নতুন নাম দিয়ে ফেললেন। তাঁর দুষ্টু উত্তর ‘লোমহর্ষক বেবি’।
মীরের জীবন নানা অভিজ্ঞতায় ঠাসা। শিশুদিবসও নিশ্চয়ই ঘটনাবহুল? গল্প শোনার লোভে যোগাযোগ করেছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। ফোনের ওপারে ‘সকালম্যান’-এর স্মৃতি তাজা। বললেন, ‘একবার বন্ধুদের আবদার, আমাকে ওদের খাওয়াতে হবে। তখন হাতখরচ ১০টাকা বরাদ্দ। এখনকার বাচ্চারা ৫০০ টাকা হাতে পেলে যেমন টগবগিয়ে ওঠে আমারও তাই-ই। কিন্তু ওই টাকাতেই গাড়ি ভাড়া, টিফিনখরচ মেটাতে হবে! বন্ধুদের মন রাখতে বাধ্য হয়ে মা-বাবার আলমারি থেকে প্রথম চুরি করেছিলাম।’ এত কাণ্ড করে মীর কি শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের মন রাখতে পেরেছিলেন? ‘ব্যান্ডেজ’-এর প্রতিষ্ঠাতার গলায় রসিকতা, ‘হল কই? স্কুলের হেড স্যর কী করে যেন ধরে ফেললেন। সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবাকে তলব।’ শুনেই বাবার প্রতিক্রিয়া, ও রকম ‘কুলাঙ্গার ছেলে’র সঙ্গে নাকি তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই! অগত্যা মা স্কুলে গিয়ে ছেলের কুকীর্তি সবিস্তার জানলেন। ‘মীরাক্কেল’ সঞ্চালকের কপট আফসোস, ‘শিশু দিবসে ভরপেট খাওয়াই হল বটে। হেড স্যরের থেকে গুছিয়ে ঝাড়। আর বাড়িতে ফিরে বাবার মার!’
মীরের মতো জীবনটাকে এমনই ‘লোমহর্ষক’ করতে চাইলে ছোটদের কী করতে হবে? তাঁর পরামর্শ, আজকের বাচ্চারাও তো বড়দের মতোই মোবাইলে ঘাড় গুঁজে। চারপাশে চোখ কই? অথচ কত কিছু দেখার রয়েছে। জীবনটাকে রসে টইটম্বুর করতে চাইলে দু’চোখ ভরে সে সব দেখতে হবে। ছোটদের মতো বড়দেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতো ‘লোমহর্ষক বেবি’ হওয়ার! বলেছেন, ‘ছেলেমানুষীর কি অন্ত আছে? সুযোগ পেলেই দুষ্টুমি করুন। আপনিও তরতাজা। আপনার চারপাশও।’
আরও পড়ুন
সৃজিতের পাল্লায় পড়ে ‘স্বর্গের জমি’ কিনছেন পরান! অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে ফাঁস করলেন শ্রীজাত
আমাদের বিচ্ছেদ নিয়ে অকারণ গুঞ্জন, আমরা মানুষ না?: মিথিলা।। উটকো গুজব নিয়ে কথা বলার সময় নেই: সৃজিত
৩ বছর আগে সাইবার অপরাধের শিকার! কীভাবে মোকাবিলা করেছিলেন মিথিলা?