ভাইাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে ইভিএম হ্যাক করা যেতে পারে। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে রয়েছে। উত্তর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইভিএম (EVM) পুরো শব্দ ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন। বর্তমান ভারতে ইভিএমই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ইভিএম নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। তবে নির্বাচনের সময় ভুল তথ্য প্রচার একটি সাধারণ ব্যাপার। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় মাত্র কয়েক দিনই আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে ইভিএম হ্যাক করা যেতে পারে। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। তবে তারই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন উত্তর দিয়েছে।
ভাইাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে ইভিএম হ্যাক করা যেতে পারে। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে রয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে ইভিএম হ্যাক করা যেতে পারে। ভারতে ভোট হলেও সরকারের হাতে সবকিছু রয়েছে। পাশাপাশি ইভিএম ই এই নির্বাচনে আসল ইস্যু হতে পারে। কিন্তু বিরোধীরা এই বিষয়ে উদাসীন বলেও ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে। ইভিএম সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। তিনটি স্লটে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। দেখুন কী বলছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিঃ
ইভিএম নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভাইরাল ভিডিওতে যে দাবি করা হয়েছে ইভিএম হ্যাক সম্পর্কে তা আদতে ভুল। ইভিএম হ্যাক করা যাবে না। কমিশনে আরও বলেছে, ইভিএম-এ কারচুপি করা সম্ভব নয়। ভিডিওটিতে বিভ্রান্তিকর হিসেবেও দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশন ভিডিও বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেছে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, ইভিএম নিরাপদ। ইভিএম-এ এককালীন প্রোগ্রাম রয়েছে। যা কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে এভিএম কি করে পরিচালনা করা হয়ে তার বিস্তারিত তথ্যও শেয়ার করেছে। নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে মাইক্রোকন্ট্রোলার সম্পর্কে প্রযুক্তিগত বিবরণ নির্মাতাদের ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
ইসিআই বলেছে যে ইভিএম হল একটি স্বতন্ত্র ডিভাইস যাতে ইভিএম সিস্টেমের বাইরে কোনো বাহ্যিক তারযুক্ত বা বেতার সংযোগ নেই। বলা হয়েছে ব্যালট ইউনিট (BU), কন্ট্রোল ইউনিট (CU), এবং ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল (VVPAT) এর প্রতিটি ইউনিট ডিজিটাল শংসাপত্র দিয়ে সজ্জিত এবং সংযুক্ত হলে পারস্পরিক প্রমাণীকরণের মধ্য দিয়ে যায়। তাই ইসিআই-ইভিএম-এর সঙ্গে অন্য কোনও অনুরূপ মেশিন সংযোগ করা অসম্ভব।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন যে ইভিএম ব্যবহারে কঠোর প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, স্টোরেজ এবং পরিবহন থেকে শুরু করে এলোমেলোকরণ, বরাদ্দকরণ, প্রথম স্তরের চেকিং (এফএলসি), কমিশনিং, মক পোল, মূল ভোট এবং ফলাফল গণনা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন বলছে যে মক পোল নিয়মিতভাবে পরিচালিত হয়, এলোমেলোভাবে নির্বাচিত ইভিএমগুলির পাঁচ শতাংশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটের সঙ্গে একটি মক পোল হয়। কন্ট্রোল ইউনিট (CU) থেকে ইলেকট্রনিক ফলাফলগুলিকে VVPAT স্লিপ গণনার সঙ্গে তুলনা করা হয় যাতে ইভিএমগুলির সঠিক কার্যকারিতা যাচাই করা হয়। নির্বাচন কমিশনের মতে, এটি নিশ্চিত করে যে ইভিএমগুলি একাধিকবার প্রোগ্রাম করা যাবে না বা বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন সেল ফোন, ব্লুটুথ ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ বা যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হেরফের করা যাবে না।