দাউদকে নিয়ে ভিত্তিহীন দাবিগুলি পাকিস্তানি ইউটিউবার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া সবতেই ছড়িয়েছিল। তবে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের অ্যাকাউন্ট থেকেও এজাতীয় খবর শেয়ার করা হয়েছিল
দাউদ ইব্রাহিম- আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন। সপ্তাহের প্রথম দিনই তাকে নিয়ে জল্পনা ভারতে। সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল সে। বলা হয়েছিল, দাউদ ইব্রাহিমকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। করাচির হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন। কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে তাকে। অনেক সংবাদমাধ্যম আবার এক কাঠি বাড়িয়ে বলেছে দাউদ মারা গিয়েছে। কিন্তু দিনের শেষ দাউদকে নিয়ে ভুল ভাঙল।
জাল খবরের ভিত্তি
দাউদকে নিয়ে ভিত্তিহীন দাবিগুলি পাকিস্তানি ইউটিউবার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া সবতেই ছড়িয়েছিল। তবে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের অ্যাকাউন্ট থেকেও এজাতীয় খবর শেয়ার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়েছে। তাতেই দাউদের খবর ছড়িয়ে পড়ে। চলে আসে সীমান্তের এপারে। ভারতেও দিনভর উত্তেজনা চলে দাউদকে নিয়ে।
দাউদকে নিয়ে ভাইরাল পোস্ট
ভাইরাল বার্তায় বলা হয়েছে, 'মানবতার মসিহা, প্রতিটি পাকিস্তানি হৃদয়ের প্রিয়, আমাদের প্রিয় মহামান্য দাউদ ইব্রাহিম অজানা বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। করাচির একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।'
ফেক চেকিং ওয়েবসাইটের দাবি
ডিএফআরএসি স্বাধীন একটি ফ্যাক্সচেকিং ওয়েবসাইটের দাবি গোটা খরবটি ভুয়ো। কাকারের অফিসিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে যে খবর শেয়ার করা হয়েছে সেটি আদতে পাকিস্তানের তত্ত্ববধায়ক প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট নয়। ফ্যাক্টচেক সংস্থার দাবি কাকারের নামে একটি 'কে' অতিরিক্ত রয়েছে। তাই গোটা খরবটি ভুয়ো।
মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড দাউদ ইব্রাহিম। দীর্ঘ দিনই ভারত ছাড়া। পাকিস্তানে রয়েছে। দুবাইতেও যাতায়াত রয়েছে। র থেকে শুরু করে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দাইদকে ধরার ফাঁদ পেতেছে। কিন্তু করাচিতে পাকিস্তানের প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় দিব্য রয়েছে দাউদ। সঙ্গে রয়েছে তার পরিবারও। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবেও তার নাম রয়েছে।