জন্মাষ্টমীর পাশাপাশি ঝুলন উৎসবেও শ্রীকৃষ্ণকে তালের বড়া দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বাড়িতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর সেখানে ভোগের থালায় লুচি, সুজি, হালুয়া-র পাশাপাশি জায়গা করে নেয় তালের বড়াও।
শ্রাবণ মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে দেখা মিলেছে তালের। বাজারের প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে কালো তাল। বছরের এই একটা সময়ই তাদের দেখা পাওয়া যায়। ঠিক জন্মাষ্টমীর সময়তেই বাজারে তালের দেখা পাওয়া যায়। আসলে তাল হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম প্রিয় ফল। তাই তাঁর জন্মদিনে তাল দিয়ে হরেকরকম পদ বানানো হয়। তালের ক্ষীর, তালের বড়া সহ তাল দিয়ে তৈরি আরও অনেক ধরনের পদ তৈরি করা হয়। ঝুলন ও রাখীর পরই থাকে জন্মাষ্টমী। বৈষ্ণব পদাবলীতে উল্লেখ রয়েছে, দ্বাপরযুগে রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলার মাধ্যমেই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এখনও দেশের একাধিক জায়গাতেই ঝুলন উৎসব ধুমধাম করে পালন করা হয়ে থাকে। দোলনায় রাধা-কৃষ্ণকে বসিয়ে দোল দেন ভক্তরা।
জন্মাষ্টমীর পাশাপাশি ঝুলন উৎসবেও শ্রীকৃষ্ণকে তালের বড়া দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বাড়িতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর সেখানে ভোগের থালায় লুচি, সুজি, হালুয়া-র পাশাপাশি জায়গা করে নেয় তালের বড়াও। এবার ৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমী। আর ওইদিন নিজের হাতে তালের বড়া বানিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন শ্রীকৃষ্ণকে। ওই বিশেষ দিনে কীভাবে ওই বিশেষ পদ তৈরি করবেন তার রেসিপিটা এক ঝলকে দেখে নিন।
তালের বড়া বানাতে কী কী লাগবে
তাল- ১ থেকে
আটা- ১ কাপ
সুজি অথবা চালের গুঁড়ো- ১/২ কাপ
আধখানা নারকেল কোরা
চিনি- ২৫০ গ্রাম চিনি
নুন- ১/৪ চামচ (প্রয়োজন মতো)
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে তালের খোলা ছাড়িয়ে নিন। এরপর তাল থেকে ভালো করে মাড় বের নিন। মাড় বের করা হয়ে গেল সেটিকে কড়াইতে নেড়ে নিন। যাতে জল জল ভাব না থাকে। তারপর সেটিকে ঠান্ডা করে তার সঙ্গে আটা, চালের গুঁড়ো, নারকেল কোড়া, চিনি ও নুন মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এরপর বড়ার আকারে গড়ে নিন। দেখবেন বড়া যেন খুব বেশি নরম না হয়। তাহলে তেলে ছাড়ার পর তা ভেঙে যেতে পারে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আরও একটু আটা দিয়ে নিতে পারেন। এরপর কড়াইতে সাদা তেল গরম করে বড়াগুলি ছেড়ে দিন। লাল করে ভেজে তুলে ফেলুন। ব্যস তাহলেই হয়ে যাবে শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় তালের বড়া।