বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ। রীতি মেনে ময়দানের ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগান থেকে শুরু প্রায় সব ক্লাবেই হয়ে থাকে বার পুজো। বারপোস্টকে পুজো দেওয়ার পরের দিন থেকেই ধরা হয় নতুন মরসুম। দলের অধিনায়ক থেকে ক্লাবকর্তা, সমর্থক- সকলেই সাতসকালে ভিড় জমান তাঁবুতে। ধুমধামের সঙ্গে হয় পুজো, মিষ্টি মুখ। সারা বছর ধরে ক্লাবের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হতে পৌছে যান অগুনতি সমর্থকরাও। ঠাকুরের কাছে চলে প্রার্থনা যাতে ভাল যায় গোটা মরসুম। ট্রফিতে ভরে ওঠে ক্লাব প্রাঙ্গন। চিরাচরতিভাবে চলে আসছে এই প্রথা। কিন্তু প্রথম এই বছর ছেদ পড়ল রীতি, প্রথা ও ইতিহাসে। পয়লা বৈশাখে বার পুজো হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে দুই বড় ক্লাব ইষ্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের তরফে। কারণ অবশ্যই করোনা ভাইরাস।
আরও পড়ুনঃ২২ বছরের যুবকের সঙ্গে প্রেমে মশগুল নেইমারের মা নাদিন, জোর আলোচনা সোশ্যাল মিডিয়া
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যেই দশ জুড়ে চলেছে ২১ দিনের লকডাউন। বাড়ছে সেই লকডাউনের মেয়াদও। তারপরও দিনের পর দিন রাজ্য তথা দেশে বেড়েই চলেছে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রাথমিকভাবে যা বোঝা যাচ্ছে রাজ্যবাসীকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরবন্দিই তাকতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই পয়লা বৈশাখে ক্লাবের মাঠে বারপুজো করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুণ কর্তাদের তরফে।
আরও পড়ুনঃধোনির অবসর প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য গৌতম গম্ভীরের, কী বললেন মাহির একদা সতীর্থ
আরও পড়ুনঃবাড়ির ছাদকেই ক্রিকেট অ্যাকাডেমি বানালেন নভদীপ সাইনি, লকডাউনে সেখানেই চলছে অনুশীলন ও জিম
এবিষয়ে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস জানিয়েছেন, “এবার পয়লা বৈশাখে ময়দানের বহু প্রাচীন রীতি বারপুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সমর্থক ও সহকর্মীদের সুরক্ষা। আর সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের আশা, খুব তাড়াতাড়ি এই কঠিন সময় পেরিয়ে যাবে আর ময়দানে ফিরবে ফুটবল।” ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন,"পরিস্থিতির বিচার করে এবার পুজো করবেন না তাঁরা। বরং লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইএফএ-কে অনুরোধ জানাবেন একসঙ্গে ক্লাবের পক্ষ থেকে ময়দানে একটি পুজো করার।"ক্লাবের তরফ থেকে এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও হতাশ সমর্থক ও প্লেয়াররা। কিন্তু বাস্তবের কথা মাথায় রেখে তা মেনে নিয়েছেন সকলে। মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যই সবার আগে বলে মত সকলের।