ফের ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে পাহাড়ি বিছে! শতবর্ষে সম্মান পাচ্ছেন পিকে-কপিল

  • আবারও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে বাইচুং ভুটিয়া
  • লাল-হলুদ ক্লাবের শতবর্ষেই তিনি ক্লাব কেরিয়ার শেষ করতে চাইছেন
  • শতবর্ষে তাঁকে সংবর্ধনাও দেবে ক্লাব
  • ভারত গৌরব সম্মান দেওয়া হচ্ছে কপিল দেবে

amartya lahiri | Published : Jul 18, 2019 10:05 AM IST

আরও একবার প্রাণপ্রিয় ক্লাব ইস্টহবেঙ্গলের জার্সি গায়ে চড়াতে চলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার আট বছর পর লাল-হলুদ ক্লাবের জার্সিতেই তিনি ক্লাব কেরিয়ার শেষ করতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে। লাল হলুদের এক্সিকিউটিভ বডির সদস্য দেবব্রত সরকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ক্লাবের শততম বর্ষে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে অবসর নিতে চেয়েছেন বাইচুং।

তবে কোথায় কবে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বাইচুং মাঠে নামবেন তা বর্তমান কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন নিতু। ভারতীয় জার্সি গায়ে বাইচুং শেষ খেলেছেন কাতারে ২০১১ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে। এরপর ২০১৫ সালে তিনি তাঁর প্রথম ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হয়েই খেলে ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেইবার হাঁটুর চোটের জন্য তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।

বাইচুং জানিয়েছেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরেই কলকাতা ময়দানে খেলতে এসেছিলেন তিনি। পরিবার ছেড়ে আসার সময়ে কুব কান্নাকাটি করেছিলেন। কিন্তু কলকাতায় এসে আরও বড় পরিবার পেয়ে যান। তাই আর বাড়ির জন্য মন কেমন করেনি। তাঁকে খুঁজে এনে ভারতীয় ফুটবলে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি লাল-হলুদ ক্লাবের প্রতি কৃতঙ্গতাও জানিয়েছেন।

তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তও লাল-হলুদ ক্লাবের হয়েই বলে জানিয়েছেন পাহাড়ি বিছে। সেটা ১৯৯৭ সালের আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনাল। ম্য়াচের আগে অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমের মোহনবাগান নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচে বাইচুং-এর হ্যাটট্রিকে ইস্টবেঙ্গল ৪-১ গোলে বিশাল জয় পেয়েছিল। এর পাশাপাশি ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জিতে কলকাতায় পা রাখার পর ক্লাব সর্থকদের যে সংবর্ধনা তিনি পেয়েছিলেন, তাও কোনওদিন ভুলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। বাবা-মা জডন্ম দিলেও লাল-হলুদ ক্লাবই তাঁর পরিচয় গড়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন পাহাড়ি বিছে।

ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে, তাঁকে ও মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সারা জীবনের অর্জনের স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। সেইসঙ্গে প্রখ্য়াত ফুটবলার ও কোচ পিকে বন্দোপাধ্যায়কে 'কোচদের কোচ' সম্মান দেওয়া হবে। দানমাওইয়া অর্থাৎ লালদানমাওইয়া রালতে-কে দেওযা হচ্ছে বছরের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। আর লাল-হলুদের সর্বোচ্চ সম্মান 'ভারত গৌরব' দেওয়া হচ্ছে ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলে যাওয়া বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার কপিলদেব-কে।   

 

Share this article
click me!