দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ু অসুখে ভুগছেন তিনি। হাঁটাচলাও বন্ধ বহুদিন। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টেলেকে নিজের বাড়িতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে। তবে প্রবাদপ্রতীম এই ফুটবলারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৯৫৮ সালে তিন প্রধানের বাইরে প্রথম দল হিসেবে কলকাতা লিগ জয়ের নজির গড়ে ইস্টার্ন রেল। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় নামেই একডাকে চেনেন সকলেই। খেলোয়াড় জীবনে যা কিছু সাফল্য পেয়েছেন তিনি, তা সবই ইন্টার্ন রেলে খেলে। জীবনে কোনওদিন মোহনবাগান- ইস্টবেঙ্গল- মহমেডান অর্থাৎ ময়দানে তিনপ্রধানে খেলেননি পিকে। কিন্তু তাতে কি! পাঁচ ও ছয়ের দশকে ভারতীয় দলের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি। তখন ফুটবলে দাপট ছিল বাঙালিদেরই। একসঙ্গে উচ্চারিত হত তিনজনের নাম। চুনী-পিকে-বলরাম।
আরও পড়ুন: ...ডার্বিতে হারের ধাক্কা, ইস্টবেঙ্গল কোচের পদে ইস্তফা আলেজান্দ্রোর
১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পিকে। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতের জার্সি পরে খেলেছিলেন তিনি। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানও। ১৯৬২ সালের জার্কার্তা এশিয়ান গেমসে ভারত সোনা জিতেছিল ভারত। চুনী গোস্বামী বলুন কিংবা তুলসীদাস বলরাম, খেলার ছাড়ার পর কেউই আর কোচিং করাননি। ব্যতিক্রম ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কিংবদন্তি ফুটবলারই নন, তিনি ভারতীয় ফুটবলের সফলতম কোচও বটে।