ভারতের কোচ হিসেবে শুরুটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না ইগর স্টিমাচ। কিংগস কাপের প্রথম ম্যাচেই কুরাকাওয়ের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেলেন সুনীলরা। ভারতের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীই। তবে নতুন কোচের অধীনে অবশ্য এ দিন আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেন সুনীল- উদান্তারা।
ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে কুরাকাও। দলের অধিকাংশ ফুটবলারই বিদেশে খেলেন। ফলে সুনীলদের জন্য যে কড়া চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, ভালই জানতেন নতুন কোচ। বাস্তবে হলও তাই।
এ দিন নতুন কোচ স্টিমাচের অধীনে মোট ছয় ফুটবলারের অভিষেক হয়। প্রথম একাদশে শুরু করেন রাহুল ভেকে, সাহাল আবদুল সামাদ এবং ব্রেন্ডন ফার্নান়্ডেজ। কিন্তু প্রথম থেকেই আধিপত্য নিয়ে খেলতে শুরু করে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশের ফুটবলাররা। যদিও ম্যাচের আট মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। সামাদের ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য এর মূল্য চোকাতে হয় ভারতকে। ১৬ মিনিটেই কুরাকাওকে এগিয়ে দেন বোনভেসিয়া। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে ডিফেন্ডার প্রণয় হালদারকে দোষারোপ করাই যায়।
প্রথম গোলের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের ধাক্কা খায় ভারত। এবার দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গনকে গতিতে পরাস্ত করে গোল করে যান হুই।
ম্যাচের তিরিশ মিনিটে অবশ্য পেনাল্টি পায় ভারত। গোল করতে ভুল করেননি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ২-১ হওয়ার পর যখন মনে হচ্ছে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন সুনীলরা তখনই ৩৩৩ মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে কুরাকাও। এর পরে খেলায় ফিরতে পারেননি ভারতীয় দলের ফুটবলাররা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন নতুন ফুটবলারকে মাঠে নামান স্টিমাচ। এঁরা হলেন অমরজিৎ সিংহ কিয়াম, সুসাইরাজ মাইকেল এবং রেনিয়ার ফার্নান্ডেজ। তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক সুনীলের একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
চার দলের টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে জিতে চার দলের টুর্নামেন্টের ফাইনালে চলে গেল কুরাকাও। আর সুনীলরা তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে খেলবেন ভিয়েতনাম বনাম থাইল্যান্ড ম্যাচের পরাজিত দলের বিরুদ্ধে।