তার গ্ল্যামার ও হটনেসে মুগ্ধ সকলেই, এবার নয়া নজির প্রবাসী বাঙালি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার ইশা গুহ-র
বাঙালি হলেও জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। ২২ গজে ইংল্যান্ডের হয়ে গড়েছেন একাধিক নজির। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যও হয়েছে। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর ধারাভাষ্যকে নিজের দ্বিতীয় কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এবার সেখানেও নজির গড়লেন ইশা গুহ।
ক্রিকেট বিশ্বে যে কজন মহিলা ধারাভাষ্যকার রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা হলেন ইশা গুহ।
শুধু ধারাভাষ্য নয়, ইশা দেখতেও খুবই সুন্দরী। তার লুকস, স্মার্টনেস, বোল্ডনেস, হটনেস সকলকে আকর্ষিত করে।
এবার সঞ্চালিকা ইশা গুহ বিশ্বের সেরা মহিলা ধারাভাষ্যকারের শিরোপা পেলেন। লাস্ট ওয়ার্ড অন স্পোর্টের বিচারে এই সম্মান পেলেন তিনি।
ইশা প্রবাসী বাঙালি। ১৯৭০ সালে ইশার বাবা-মা কলকাতা থেকে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ওখানেই পাকাপাকিভাবে থেকে যান।
১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইশা। ইংল্যান্ডে থাকলেও তার মুখে বার বার শোনা গিয়েছে কলকাতার প্রতি ভালোবাসার কথা।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের কেরিয়ার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ইশা। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেন তিনি।
দেশের জার্সিতে একাধিক নজির গড়েছেন ইশা। ২০০৫ ও ২০৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন ইশা। ২০০৯ সালে বিশ্বকাপও জিতেছেন।
ইশা গুহ ইংল্যান্ডের হয়ে প্রায় এক দশকের কেরিয়ারে ৮টি টেস্ট, ৮৩টি একদিনের ম্যাচ ও ২২টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। মিডিয়াম পেস বল করতেন।
তিন ফর্ম্যাটেই দেশের হয়ে উইকেট পেয়েছেন ইশা। টেস্টে ২৯টি, একদিনের ক্রিকেটে ১০১টি ও টি-২০ ক্রিকেটে ১৮টি উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে।
ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর ধারাভাষ্যকে নিজের পরবর্তী কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন ইশা। এবার সেখানেও খ্যাতির শীর্ষ পৌছলেন তিনি।
লাস্ট ওয়ার্ড অন স্পোর্টের বিচারে সেরা ধারাভাষ্যকারের সম্মান পেলেও, লড়াইটা সহজ ছিল না। কারণ তালিকায় ছিলেন ফক্স ক্রিকেটের মেল জোন্স।তাকেও টপকে সেরার শিরোপা পেলেন ইশা।
এই সম্মান পেয়ে খুশি ইশা। বহু মহিলা ক্রিকেটারের কাছে আদর্শ তিনি। আগামি দিনেও নিজের কাজ মন দিয়ে চালিয়ে যেতে চান ইশা।