ভবিষ্যতের আকাশ ভারতের হাতেই, কুচকাওয়াজে আস্তিনের পাঁচ তাস ফেলল বায়ুসেনা
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লির রাজপথ-এর কুচকাওয়াজে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বাহিনী যখন ভারী সাজ-সরঞ্জাম, কামান, ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করল, তখন তারমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রদর্শন আপাত দৃষ্টিতে ছিল বেশ ম্যারমেরে। শত্রুপক্ষের বুকে ভয় ধরানো কোনও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শন নেই, বদলে আধুনিকীকরণের ফলে অদূর ভবিষ্যতের বায়ুসেনার চেহারাটা কেমন দাঁড়তে পারে তা একটি ট্যাবলোয় পাঁচটি পুঁচকে পুঁচকে মডেল দিয়ে বুঝিয়ে দিল তারা। যা দেখে সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই প্রদর্শনী আদতে 'গেমচেঞ্জার'। একনজরে চিনে নেওয়া যাক সেগুলিকে -
'এলসিএইচ': একইভাবে গত কয়েক বছরে হ্যাল-এর তৈরি এলসিএইচ বা লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার-এরও উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। এখন সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বায়ুসেনাও এই কপ্টারগুলির কিনতে আগ্রহী। হ্যাল জানিয়েছে, এলসিএইচ-গুলিতে স্টেলথ ফিচার, অস্ত্রশস্ত্রের সুরক্ষা, রাতে হামলা চালানোর ক্ষমতার মতো দুর্দান্ত কিছু আক্রমনকারী বৈশিষ্ট রয়েছে। তার পাশাপাশি কখনও কপ্টারটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হলে ল্যান্ডিং গিয়ার-এর সুরক্ষাও পাবেন পাইলট ও তাঁর সহকারি।
'তেজাস' এলসিএ: হ্যাল-এর তৈরি তেজাস লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট বা তেজাস এলসিএ তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। কিন্তু, গত কয়েক বছরে এর কাজে দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে। আপাতত শোনা যাচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই বহুলল পরিমাণে এই যুদ্ধবিমান বাহিনীতে য়ুক্ত হতে চলেছে। এমনকী এই বিমানের চাহিদা আছে বিদেশেও।
'অস্ত্র' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: ডিআরডিও-র তৈরি অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই ভারতে তৈরি প্রথম বায়ু থেকে বায়ু ক্ষেপণাসস্ত্র ব্যবস্থা। প্রথম হলেও এর উন্নত দিকনির্দেশনা ব্যবস্থা এবং হোমিং প্রযুক্তি আকাশ পথে হামলার উদ্দেশ্যে আসা যে কোনও শত্রুপক্ষকে মুশকিলে ফেলবে।
'আকাশ' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: একইভাবে, ভূমি থেকে বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আকাশ, শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমানে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি ৪টি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
'রাফাল' যুদ্ধবিমান: এটিই এই শক্তিশালী অস্ত্রাগারের একমাত্র বিদেশি অস্ত্র। রাফাল যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ফ্রান্সের ডাসল্ট অ্যাভিয়েশন সংস্থা। এটি বর্তমানে বিশ্বের সেরা যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি। ইতিমধ্যেই এর প্রথম কয়েকটি বিমান ভারতে এসে গিয়েছে। বায়ুসেনা-কতে রাফাল-এর অন্তর্ভুক্ত এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
এ-স্যাট: এর পাশাপাশি এদিন বায়ুসেনা আরেকটি ট্য়াবলোয় দেখায় এ-স্যাট'কে। গত বছর মার্চ মাসে ভারত মিশন শক্তির অংশ হিসাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সফল হয়েছিল। মহাকাশেও কোনও শত্রুপক্ষকে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর ফলে ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশেও যুদ্ধ করতে সক্ষম।