চিন-পাকিস্তানকে ভয় ধরাতে আরও ক্ষুরধার রাফাল ও সুখোই, সংযোজিত হল বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিভিআর মিকা

ফের ইন্দো-চিন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ড্রাগনের দেশ। একটি স্ট্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হোতান বিমানঘাঁটিতে দু'টি জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিন। এই বিমানঘাঁটিটি ভারত-চিনের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের সবথেকে কাছে অবস্থিত । মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরত্বে। এই অবস্থায় ভারত নিজের প্রধান ২ অস্ত্র সুখোই ও রাফালে সংযোজিত করে ফেলল আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র মিকা।

Asianet News Bangla | Published : Aug 20, 2020 4:07 AM IST / Updated: Aug 20 2020, 09:50 AM IST

110
চিন-পাকিস্তানকে ভয় ধরাতে আরও ক্ষুরধার  রাফাল ও সুখোই, সংযোজিত হল বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিভিআর মিকা

 ২৯ জুলাই ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। হরিয়ানার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির ১৭ নম্বর গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনে এতদিন ঠাঁই ছিল পাঁচ রাফাল ফাইটার জেটের। এবার সময় আসছে লাদাখ পাড়ি দেওয়ার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের লাল ফৌজের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত থামেনি। বরং নতুন করে আকসাই চিন ও তিব্বতে চিনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। দৌলত বেগ ওল্ডিতে তাই সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র বাড়াচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। এই সময় উঁচু পাহাড়ি এলাকায় দিনে-রাতে কড়া নজরদারির জন্য প্রয়োজন রাফালের মতো মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের। নজরদারিও হবে আবার আকাশযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে চিনের যুদ্ধবিমানকে মুখোমুখি টক্কর দিতে পারবে রাফাল।

210


হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাঁচ রাফাল যুদ্ধবিমান, জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। রাতের বেলা পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাইলটরা। প্রয়োজন হলে কীভাবে মিসাইল ছুড়তে হবে শত্রু ঘাঁটিতে তার প্রশিক্ষণও চলছে। বায়ুসেনা সূত্র জানাচ্ছে, রাফালের বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মেটিওর মিসাইল ও এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্কাল্প মিসাইলের পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে রাতের বেলা কড়া পাহাড়া দেবে রাফাল। মিসাইল-যুক্ত হয়েই টহলদারি চালাবে যুদ্ধবিমান।

310

রাফালের জন্য সেই বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ মিকা মিসাইলের সফল পরীক্ষা হল ওড়িশা উপকূলে। 

410

ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের রাশিয়ান যুদ্ধ বিমান সুখোই ৩০-এও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্ত করেছে। 
 

510

ডবল ইঞ্জিন মল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট রাফাল আকাশ থেকে ভূমিতে ও সমুদ্রেও নির্ভুল নিশানা লাগাতে পারে। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা, মিসাইল নিক্ষেপ এমনকি পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে রাফালের।  এই যুদ্ধবিমানের শক্তি বাড়িয়েছে মেটিওর ও স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র। বায়ুসেনা জানাচ্ছে, মেটিওর হল বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। ওজন ১৯০ কিলোগ্রাম।  প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত টার্গেট করতে পারে।

610

এর পাশাপাশি চিন ও পাকিস্তানকে কাবু করতে ভারতীয় সেনার হাতে এসেছে নয়া হাতিয়ার নাগ ক্ষেপণাস্ত্র। 

710

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের অধীনে থাকা ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি অংশ হল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র  এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড৷ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদনের জন্য তৈরি৷

810

নাগ ক্ষেপণাস্ত্র৷ নামটা যেরকম বিষধর, কাজও সেরকম ধংস্বাত্বক। যে কোনও পরিবেশে, যেকোনও আবহাওয়ায় এটি ব্যবহার করা যায়৷ ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে৷ এই মিসাইলটির উপর থেকেই ১৪ অগাস্ট পরদা উন্মোচন করেন রাজনাথ সিং। এলএসি থেকে এলওসি রক্ষা করতে সক্ষম এই নাগ মিসাইল।
 

910

এ পি জে আবদুল কালামের অধীনে ১৯৮৮ সালে শুরু হয়েছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ৷ ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম এর পরীক্ষা করা হয়৷ কিছু সমস্যার জন্য মাঝে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়৷ ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ফের এর পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে এটি সাফল্য পায়৷

1010

২০০৮ সালে রাজস্থানের পোখরানের টেস্ট রেঞ্জ থেকে এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়৷ তাতেও সফলতা মেলে৷ ওই বছরই ভারতীয় সেনা ৪৪৩টি নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অর্ডার দেয়৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটি ইউনিট তৈরি করতে খরচ ৩.২ কোটি টাকা৷

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos