করোনা ভাইরাস। নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন। শুধু চিন নয়, চিনের পাশাপাশি একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করছে এই ভাইরাস। একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। সারা বিশ্বে জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। করোনা ভাইরাস আটকাতে মাস্ক ব্যবহার মাস্ট। তবে যে কোনও মাস্ক নয়। সঠিক মাস্ক ব্যবহারের বিশেষ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলি মেনে চলা অবশ্যই দরকার। ইতিমধ্যেই করোনা আতঙ্কে জেরবার বিশ্ববাসী, জেনে নিন মাস্ক ব্যবহারের ডু'স অ্যান্ড ডোন্টস। আর তা না মানলেই শরীরে যে কোনও মুহূর্তে প্রবেশ করতে পারে এই করোনা ভাইরাস।
যত দিন যাচ্ছে মহামারির আকার ধারণ করছে এই রোগ। যার জেরে জেরবার প্রশাসন। এই রোগের সমাধান কবে বা কীসে মিলবে এই নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন।
সংক্রমন এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে নির্দেশিকা। বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক মাস্ট।
সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করা সবথেকে ভাল। যার মধ্যে অনেকগুলো লেয়ার থাকে।
এই সার্জিকাল মাস্কের দুটো দিক থাকে। হালকা নীল এবং সাদা। সাদা অংশটাতে ফিল্টার থাকে যা ভেদ করে জীবাণু ঢুকতে পারে না।
মাস্ক পরার সময় অনেকেই নাক খোলা রেখে শুধু মুখটা ঢেকে রাখে। এটা ঠিক নয়। তাই নাকের সঙ্গে মেটাল অংশটা চেপে নিচের থুতনির অংশ উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে।
মাস্ক পরার যেটা সঠিক নিয়ম সেই ভাবেই মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে বেরলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। এছাড়া বারবার হাত ধোওয়া অবশ্যই উচিত, অসুস্থ ব্যক্তি সংস্পর্শে যাবেন না, সর্দি-জ্বর হলেও ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
দীর্ঘদিন ধরে এক মাস্ক কখনওই ব্যবহার করবেন না। এতে শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক।
সার্জিকাল মাস্ক কেনার সময় দেখে কিনুন। বাজারে এই ধরনের মাস্ক ভরে গেছে। তাই কেনার সময়ে লেয়ার দেখে কিনুন।
হোমমেড বলে যো মাস্কগুলি বিক্রি হচ্ছে সেগুলিও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম নয়। কারণ সেগুলিও মেয়েদের অন্তর্বাস, বোর্ডের বক্স, প্লাস্টিক বোতল এছাড়া বাড়ির অন্যান্য জিনিস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
পেপার, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি মাস্কে বাজার ভরে গেছে। তাই ভুল করে ওই মাস্ক কিনবেন না। যেমন পিট্টা মাস্ক, ইনফেরিয়র মাস্ক থেকে দূরে থাকুন।
ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেডিক্যাল বা সার্জিক্যাসল মাস্কই একমাত্র করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।
ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেডিক্যাল বা সার্জিক্যাল মাস্কই একমাত্র করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। ফলের খোসা দিয়ে হোমমেড মাস্ক মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়।
ভুল করেও এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করবেন না।খাওয়ার সময় মাস্ক খুলে খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরে নিন।
এতদিন ধরে যে নর্মাল মাস্ক ব্যবহার করে এসেছেন সেগুলি অতি দ্রুত পরিবর্তন করুন।
অনেকেই কথা বলার সময় থুতনি অবধি মাস্ক খুলে কথা বলেন। এতে সহজেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।