প্রতিদিন এই খাবারগুলো কি বারবার গরম করেন, অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন
কিছু টোটকা রয়েছে, যা মেনে চললে সারাদিন যেমন ঝরঝরে থাকবেন, তেমনই শরীর ছেড়ে পালাবে রোগব্যাধি। খুব সাধারণ এই নিয়ম শরীরকে সুস্থ রাখবে, নানা রোগ ব্যাধি প্রতিহত করবে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য নানা টোটকা মেনে চলি আমরা। যে যা বলেন, সাধ্যের মধ্যে হলে, সবই পালন করি। কিন্তু জানেন কী, অনেক খাবার রয়েছে, যা বারবার গরম করে খেলে স্বাদ হয় ঠিকই, কিন্তু তা শরীরকে অসুস্থ করে তোলে।
কিছু খাবার (Food) রয়েছে, যা বারবার গরম (Repeatedly heating some foods) করে খেলে সেগুলোর পুষ্টিগুণ (Nutrition) যেমন কমে, তেমনই রোগের ঝুঁকি (Risk of disease) বেড়ে যায়। অনেকে সময় বাঁচানোর জন্য রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন। পরে সেই খাবার গরম করে খান। কিন্তু কি জানেন, কিছু খাবার বারবার গরম করে খেলে আপনি পড়তে পারেন ভীষণ বিপদে।
রান্না করা ভাত আবার গরম করলে তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া চাল সেদ্ধ করে ভাত তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে এই ব্যাকটিরিয়ার বংশ বিস্তার করে,আর শুরু হয় বিষক্রিয়া। পরে ৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আবার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য একবারেই অনেকটা মুরগির মাংস রান্না করে রাখেন। কিন্তু মুরগির মাংস বারবার গরম করে খাওয়া উচিত নয়।
তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। এটা আমাদের অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা ঠিক নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে এরমধ্যে থাকা নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড হয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। একারণে ডিম রান্না কিংবা ভাজা যেভাবেই খান না কেন, কোনোটাই দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি ডিম যদি দ্বিতীয়বার গরম করা হয় তাহলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের মধ্যে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এসব ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য খুব ক্ষতিকর।
পালংশাক রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়া উচিত। কারণ পালংশাককে গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক এলিমেন্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। পালংশাকে উপস্থিত নাইট্রেট গরম করার পর নাইট্রাইটস-এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। আর এই উপাদানটি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আপনার পেটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সাধারণত মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন-এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু দ্বিতীবার গরম করে খেলে, তাতে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না।