শীতের ভ্রমণ তালিকায় রাখুন দার্জিলিং, জেনে নিন সেরা দশ কারণ
বাঙালির কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই এলাকা জুড়ে সারা বছরই নামে পর্যটকদের ঢল। তবে অনেকেই মনে করেন শীতের ছুটিতে সমুদ্র আবার গ্রীষ্নমের ছুটিতে পাহাড়। সেই চিরাচরিত সমীকরণকে ভেঙে এবার শীতেই পৌঁছে যান দার্জিলিং। শীতের মরশুমে দার্জিলিং-এ ভ্রমণের জন্য রইল সেরা দশ কারণ, যার জন্য তালিকা থেকে বাদ পড়বে না দার্জিলিং শহর।
debojyoti AN | Published : Dec 23, 2019 5:49 AM IST
১) দার্জিলিং ফেস্টিভ্যালঃ শীতের মরশুমে এই শহরে একাধিক ফেস্টিভ্যাল হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল তিস্তা টি ও টুরিজম ফেস্টিভ্যাল। দার্জিলিং চায়ে মুগ্ধ সকল পর্যটক। তবে এই সময় দার্জিলিং- গেলে মিলবে অনবদ্য স্বাদের একাধিক পেয়ালাতে চুমুক দেওয়ার সৌভাগ্য।
অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যালঃ পাহাড়ে কমলা লেবু চাষ হয় ধাপে ধাপে। সেই কমলা লেবু নিয়েই প্রতিবার ফেস্টিভ্যাল-এ মাতে দার্জিলিং। এই সময় যাঁরা দার্জিলিং ভ্রমণে যান তাদের কাছে এই দুই ফেস্টিভ্যালই উপরি পাওনা। যার ফলে শীতের তালিকা থেকে বাদ থাকে না দার্জিলিং।
সূর্যোদয়-সূর্যাস্তঃ শীতের সময় আকাশ পরিস্কার থাকে। পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকে বেশ খানিকটা কম। যার ফলে টাইগার হিলের ভিউ সকলের নজর কাড়ে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এক অনন্য রঙের সৃষ্টি হয় সারা আকাশ জুড়ে। যা এক কথায় সকলকে তাক লাগিয়ে দেয়।
ট্রেকিংঃ দার্জিলিং শহর ট্রেক করে ঘুরে বেড়াতে অনেকেই পছন্দ করেন। শীতকালে এখানের তাপমাত্রা থাকে বেশ মনোরম। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডাতেও শরীর মন থাকে চনমনে। শীতের দাপট উপভোগ করতে করতে, পাহাড়ি রোদ গায়ে মেখে অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন পুরো শহর পায়ে হেঁটে দেখতে।
ভিন্ন স্বাদের পদঃ সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের খাবার এখানে পাওয়া যায়। তবে শীতের ছুটিতে পাহাড়ি গিয়ে খুকপা কিংবা মোমো খাওয়ার মজাই আলাদা। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রেস্তোরাতে পাওয়া যায় নেপালি, টিবেটিয়ান বিভিন্ন প্রকারের পদ।
বরফের দেখাঃ পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে বরফ হয়তো অধিকাংশেরই দেখা। কিন্তু দশ বছর ধরে বরফ পড়েনি যে শহরে সেখানেই আবারও বরফের দেখা মিলেছিল ২০১৯-এর শুরুতে। সেই আমেজে গা ভাসাতেই এবার শীতে পৌঁছে যাওয়াই যায় দার্জিলিং।
শহর জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনঃ শীতের সকালে কুয়াশায় ঢাকা মেঘ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহর জুড়ে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। স্লিপিং বুদ্ধারও দর্শন মিলবে হোটেল থেকেই।
মনোরম তাপমাত্রাঃ শীতকালে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা বেশ মনোরম থাকে। তাপমাত্রার পারদ থাকে ৫-৬ ডিগ্রি। যার জেরে ঠাণ্ডা পড়লেও, শীতের দাপট তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায়। সঙ্গে ম্যালে গিয়ে গরম দার্জিলিং চায়ের কাপে চুমুক।
৭) ট্রয় ট্রেনে শহর ভ্রমণঃ আগে অনেকেই গ্রীষ্মে বেশি দার্জিলিং যেতেন, যার ফলে ফাঁকায় ফাঁকায় শহর ঘুরে দেখার সুযোগ হত না সেভাবে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন এখন শীতেই পর্যটকদের ঢল নামতে দেখা যায় দার্জিলিং-এ। শীতের সময় চারিদিক কমলা লেবুর গাছে ভরে থাকে, এই সময় ট্রয় ট্রেনের সফর বেশ নজর কাড়ে।
১০) রাবাংলা-নামচিঃ দার্জিলি-এর কাছেই রা বাংলা ও নামচি। গরমের সময় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জায়গাগুলি ঘুরে বেড়ানোর অবস্থায় থাকে না। তেতে যায় মাটি। শীতের সময় এই জায়গাগুলি ভালো করে ঘুরে দেখা যায়।