প্যারালিম্পিক্সে রূপো জয়ী ভাবিনা প্যাটেলের জীবন সংগ্রামের ১০টি অজানা তথ্য, যা অনুপ্রেরণা জোগাবে আপনাকেও

পোলিও কেড়ে নিয়েছিল স্বাভাবিক জীবন। হুইল চেয়ার সঙ্গী ছোট বেলা থেকেই। কিন্তু হার না মানা লড়াই, জেদ ও অদম্য ইচ্ছেশক্তির জোরে বার বার জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভাবিনা প্যাটেল। এবার টোকিও প্যারালিম্পিক্সে রূপো জিতে তৈরি করলেন ইতিহাস। ভাবিনার জীবন সংগ্রাম সত্যি অনুপ্রেরণা জোগায়।

Sudip Paul | Published : Aug 29, 2021 5:17 AM IST / Updated: Aug 29 2021, 10:54 AM IST

110
প্যারালিম্পিক্সে রূপো জয়ী ভাবিনা প্যাটেলের জীবন সংগ্রামের ১০টি অজানা তথ্য, যা অনুপ্রেরণা জোগাবে আপনাকেও

টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ভারতকে প্রথম পদক এনে দিলেন ভাবিনা প্যাটেল। একইসঙ্গে তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। প্রথমবার প্যারালিম্পিক্সে টেবিল টেনিসে পদক পেল ভারত। একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া হলেও, রূপোর মেয়েকে নিয়েও গর্বিত গোটা দেশ।
 

210

টোকিও ২০২০ প্যারালিম্পিক্সে রূপো জয়ের পর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ভাবিনা প্যাটেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভবিনা প্যাটেলকে। 
 

310

প্রতিবন্ধকতা, হুইল চেয়ার, বঞ্চনা ছোট বেলা থেকেই সঙ্গী ছিল ভাবিনার। কিন্তু সব প্রতিকুলতাকে জয় করে জীবন যুদ্ধে আগেই জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট। এবার প্যারালিম্পিক্সে রূপোল জিতে বিশ্ব জয় করলেন তিনি।
 

410

গুজরাতের ভাডনগরে মেহসানা জেলার সুন্ধিয়া গ্রামে ১৯৮৬-র ৬ নভেম্বর জন্ম ভাবিনাবেনের। মাত্র এক বছর বয়সেই পোলিয়োয় আক্রান্ত হন তিনি। শরীরের নিচের অংশ ক্রমশ অবশ হয়ে যেতে থাকে। মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না বাবা-মায়ের।

510

ভাবিনার পরিবারের তরফে তাকে সুস্থ করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। অভাবের মধ্যেই নিজের সর্বস্বটুকু দিয়ে চেষ্টা কেরচিলেন ভাবিনার বাবা। অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে অস্ত্রোপচার করা হয় ভাবিনার। কিন্তু তা কাজে আসেনি।

610

ফলে খুব ছোট বেলা থেকেই হুইল চেয়ার ছিল ভাবিনার সঙ্গী। প্রথমে সাধারণ স্কুলে পড়াশোনা শুরু করলেও, ২০০৪ সালে তাঁর বাবা আমদাবাদের ব্লাইন্ড পিপল‌্স অ্যাসোসিয়েশনে ভর্তি করিয়ে দেন। কম্পিউটাকর নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল ভাবিনার।
 

710

কিন্তু ব্লাইন্ড পিপল‌্স অ্যাসোসিয়েশনেই তার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। সেখানে শারীরিক ফিটনেসের জন্য ভাবিনাকে টেবিল টেনিস খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন লালা যোশী। টিটি ব্যাট হাতে নেওয়ার পর থেকেই জীবনে বদলাতে শুরু করে ভাবিনার।
 

810

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টেবিল টেনিস খেলা রপ্ত করে নেন ভাবিনা। ভালোও বেসে ফেলেন টিটিকে। কেরিয়ার হিসেব স্পোর্টসকেই বেছে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমও শুরু করে দেন ভাবিনা প্যাটেল। প্রথমে জীবনে নানা বঞ্চনার শিকারও হতে হয় তাকে।
 

910

২০০৭-এ বেঙ্গালুরুতে প্যারা টেবিল টেনিসে জাতীয় খেতাব জেতেন। ২০০৯-এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অভিষেক হয় তাঁর। তবে সাফল্য পেতে আরও দু’বছর লেগেছিল। ২০১১-য় তাইল্যান্ড ওপেন প্যারা টেবিল টেনিসে রুপো জেতেন তিনি। এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় রুপো জেতেন। সেটাও ছিল প্যারা টেবিল টেনিস ভারতের প্রথম রুপো।

1010

জর্ডান, তাইওয়ান, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, স্লোভেনিয়া, তাইল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং মিশরে পদক জেতেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সোনার পদক আসছিলই না। অবশেষে ২০১৯-এ ব্যাংককে প্যারা টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের জীবনের প্রথম সোনা পান। এবার টোকিও প্যারালিম্পিক্সে পদক জিতে নিজের ও দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ করলেন ভাবিনা প্যাটেল।
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos