নক্সালরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে বাবার দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছিল গাছে, জাতীয় রেকর্ড করে বাবাকে শ্রদ্ধা জানাল সুপ্রীতি

Published : Jun 10, 2022, 02:10 PM ISTUpdated : Jun 10, 2022, 02:11 PM IST

বাড়ি ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলার বুরু গ্রামে। নক্সালদের (Naxals) আক্রমণে হারাতে হয়েছিল বাবাকে। তখন হাঁটতেও শেখেনি ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু জীবন সংগ্রামে লড়াইয়ের জন্য যে দৌড় সেদিন শুরু করেছিলেন সেই পরবর্তীতে সেই দৌড় তাকে এনে দিল জাতীয় রেকর্ড। খেলো ইন্ডিয়া গেমসে ( Khelo India games) সোনা জিতলেন ঝাড়খন্ডের  সুপ্রীতি কাছাপ (Supriti Kachhap)। সুপ্রীতি ও তার পরিবারের জীবন সংগ্রামের কাহিনি  দেশবাসীর কাছে অনুপ্রেরণার।  

PREV
18
নক্সালরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে বাবার দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছিল গাছে, জাতীয় রেকর্ড করে বাবাকে শ্রদ্ধা জানাল সুপ্রীতি

ঝাড়খণ্ড দেশকে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় দিয়েছে।  ক্রিকেটার এমএস ধোনির একটি বড় নাম। বর্তমানে খেলাধুলায়ও এগিয়ে চলেছে রাজ্যের মহিলারা।  সম্প্রতি খেলো ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল জয়ী সুপ্রীতি কাছাপ আরেক সফল ক্রীড়াবিদ। তিনি ঝাড়খণ্ডের বুরহু গ্রামের বাসিন্দা। যা খুব নকশাল  উপদ্রুত এলাকা বলেই পরিচিত।
 

28

সুপ্রীতির বাবা ছিলেন চিকিৎসক। ২০০৩ সালে পাশের গ্রামে এক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে। আর ফেরেননি। পর দিন সকালে গাছে বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নক্সালদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল দেহ।

38

সুপ্রীতির মা বলেন, নকশালদের হাতে তার বাবা নিহত হওয়ার সময় সুপ্রীতি হাঁটতেও পারত না। স্বামীর মৃত্যুর পর ৫ সন্তানের অভিভাবক হিসেবে তাদের বড় করে তুলতে খুব  কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরও তিনি তার সন্তানদের লালন-পালনে কখনই কমতে দেননি।
 

48

স্বামীর মৃত্যুর পর বালমতি গুমলার ঘাঘরা ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) হিসেবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি পান এবং পরিবারটি সেখানে সরকারি কোয়ার্টারে চলে যায়। সেখান থেকেই খেলাধুলোর  প্রতি আকৃষ্ট হন সুপ্রীতি। 

58

এর পরে সুপ্রীতি প্রথমে নুকরুদিপা চানপুর স্কুলে ভর্তি হন। যেখানে তিনি একটি ছোট মাটির ট্র্যাকে দৌড়াতেন। পরে তাকে বৃত্তিতে গুমলার সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। তার খেলা দেখে কোচ প্রভাত রঞ্জন তিওয়ারি তাকে ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ড স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।

68

১৯ বছর পরে মুখে হাসি ফুটল বালমতীর। বাবার মৃত্যুর সময়ে যে মেয়েটা হাঁটতে শেখেনি, সেই সুপ্রীতি কাছাপ দৌড়তে দৌড়তে গোটা পরিবারের মুখে ফুটিয়েছেন হাসি। খেলো ইন্ডিয়ায় ৩০০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতে ভেঙে দিয়েছেন জাতীয় যুব রেকর্ড। ৯ মিনিট ৪৬.১৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছেন। 

78

এর আগে ২০২০ সালেও খেলো ইন্ডিয়াতে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন সুপ্রীতি। ২০২০ সালে গুয়াহাটিতে খেলো ইন্ডিয়া যুব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০০০ মিটার দৌড়ে মিট রেকর্ডের করে তিনি গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সুপ্রীতি ৩৬ তম জুনিয়র মহিলা জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছিলেন।
 

88

इस साल कोलंबिया में सुप्रीति ने कोझीकोड में फेडरेशन कप सीनियर एथलेटिक्स चैंपियनशिप में महिलाओं की 5,000 मीटर दौड़ में भाग लिया, जहां उन्होंने अंडर -20 विश्व एथलेटिक्स चैंपियनशिप के लिए 16.40 मिनट के क्वालीफाइंग मार्क के मुकाबले 16 मिनट और 33 सेकंड का समय पूरा किया।

click me!

Recommended Stories