PCOS রোগের প্রধান কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। পিসিওস-র রোগের আক্রান্ত হলে তা উপেক্ষা করবেন না। সময় থাকতে চিকিৎসা করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেমনই ভরসা করতে পারেন আয়ুর্বেদিক উপাদানের ওপর। আজ রইল কয়টি আয়ুর্বেদিক টোটকার হদিশ। সুস্থ থাকতে খেতে পারেন এগুলো। জেনে নিন কী কী।
অল্প বয়সেই সকলের শরীরে দেখা দিচ্ছে একের পর এক কঠিন রোগ। ডায়াবেটিস, প্রেসার, হাইপার টেনশন থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা। আর এর সঙ্গে অধিকাংশ মেয়েরাই ভুগছেন পিরিয়ডস সংক্রান্ত নানান রোগে। মাসিকের সমস্যা, পিসিওস, পিডিওডি-র মতো সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এই সকল সমস্যার কারণে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে বহু মেয়েরা সম্মুখীন হচ্ছেন নানান জটিলতার। এই সকল রোগের প্রধান কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। পিসিওস-র রোগের আক্রান্ত হলে তা উপেক্ষা করবেন না। সময় থাকতে চিকিৎসা করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেমনই ভরসা করতে পারেন আয়ুর্বেদিক উপাদানের ওপর। আজ রইল কয়টি আয়ুর্বেদিক টোটকার হদিশ। সুস্থ থাকতে খেতে পারেন এগুলো। জেনে নিন কী কী।
দারুচিনি- রান্না ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে একটি হল দারুচিনি। এতে আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি মাসিক চক্রকে উন্নত করে। সঙ্গে যাকে একাধিক উপকারী উপাদান। যা পিসিওস-র সমস্যা থেকে নিষ্পত্তি পেতে সাহায্য করে। রোজ খেতে পারেন দারুচিনির তৈরি চা।
গুড়ুচি- খেতে পারেন গুড়ুচি। এই ভেষজ উপাদান মেয়েদের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা শক্তিশালী করে থাকে। এতে আয়রন, জিঙ্ক, কপার, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে। যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। সঙ্গে শরীর রাখে সুস্থ। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
শতবরী- শতবরী থেকে পারেন। পিসিওএস-র সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী হল শতবরী। এটি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কে পরিপূর্ণ। এটি বায়োফ্ল্যাভোনয়েডস, ভিটামিন বি-তে সমৃদ্ধ। যা শরীর রাখে সুস্থ। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা।
এর সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীর রাখে সুস্থ। সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে চাইলে রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খাদ্যতালিকায় রাখুন সবজি ও ফল। গাজর, বিট থেকে ক্যাপসিকামের মতো সবজি খেতে পারেন। তেমনই রোজ আপেল, কলা, মৌসম্বির মতো ফল খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। দূর হবে যে কোনও শারীরিক জটিলতা। সময় মতো খাবার খান। সুস্থ থাকতে সবার আগে প্রয়োজন সময় মতো খাবার খাওয়া। রোজ সকাল ৯ টা থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে জলখাবার খান। দুপুরের খাবার শেষ করুন দুপুর ২টোর মধ্যে। রাতের খাবার খান রাত ৮.৩০ থেকে ৯টার মধ্যে। এতে দূর হবে যে কোনও শারীরিক জটিলতা।
আরও পড়ুন- অফিসে দুপুরের খাবারের পরেই চোখ জুড়ে ঘুম? কীভাবে তরতাজা থাকবেন, জেনে নিন উপায়
আরও পড়ুন- লিভারে উপস্থিত ময়লা সহজেই দূর করতে পারে এই খাবারগুলি, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
আরও পড়ুন- রাতে বেশ দেরী করে খান? খুব তাড়াতাড়ি এই ৫টি শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে